কেউ কেউ শুশুকটি বেঁচে আছে ভেবে তার গায়ে জল ঢালতে শুরু করেন। খবর যায় বনদফতরে। বনকর্মীরা এসে মৃত শুশুকটিকে নিয়ে যান ময়না তদন্তের জন্য। কীভাবে মারা গেছে এই জলজ প্রাণীটি তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: এত বড় কাতলা! পদ্মার রেকর্ডধারী মাছটির ওজন আর দাম শুনলে চমকে উঠতেই হবে!
advertisement
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এভাবেই ভেসে এসেছিল আরও একটি মৃত শুশুকের দেহ। এখনও সেটির মত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি বন দফতর। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের শুশুক রূপনারায়ণ নদে পাওয়া যায়। মাঝে মাঝেই তাদের দেখা মেলে। তাঁদের অনুমান, নদী থেকে বালি তোলার জেরে চর পড়ছে। স্থানীয় পরিবেশ কর্মী অর্পণ দাস এবং তপন সামন্ত জানাচ্ছেন, 'প্রথমত চড় পড়ছে। দ্বিতীয়ত জেলেদের লাগাম ছাড়া জাল দেওয়া। আর এর সাথে ওই এলাকায় নিয়মিত স্টিমার চলে তাই তার থেকেও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না'
এরা ভারতের জাতীয় জলজ প্রাণী। এই ধরনের শুশুকের সংখ্যা অনেকটাই সংখ্যাই কমে আসছে। রূপনারায়ণ নদে কতগুলি শুশুক আর অবশিষ্ট আছে, তার সঠিক তথ্য এখনও জানা যায়নি। মূলত ভারত, বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন নদীতে দেখা মেলে এই শুশুকের। টুটহেড হোয়েল প্রজাতির এই জলজ প্রাণী খুবই নিরীহ ধরনের হয়। লাজুক এই প্রাণী জোড়ায় জোড়ায় থাকতে ভালবাসে। শুশুক দেখার জন্যই গাদিয়াড়াতে অনেক সময় পর্যটকরাও যান।
Purnendu Mondal