জামুড়িয়া শিল্প তালুকের 'উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের কাজ যাতে দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয়, তার জন্য জামুরিয়া চেম্বার অফ কমার্স এবং সমস্ত কারখানার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা সভা সারলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ। সঙ্গে সহ জেলার শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই ব্যাপারে জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ জানিয়েছেন, জামুরিয়া শিল্প তালুকে যাতে দ্রুততার সঙ্গে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পটি শেষ করা যায়, তার জন্য জামুড়িয়ার ব্যবসায়ী সংগঠন ও বিভিন্ন কারখানার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সমস্ত কারখানা কর্তৃপক্ষকে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, জামুরিয়া শিল্প তালিকা প্রচুর বেকার যুবক - যুবতী রয়েছেন। তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মোপযোগী এবং দক্ষ বানিয়ে স্থানীয় কারখানার নিয়োগ করার প্রাথমিক লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
advertisement
জামুড়িয়ার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক যিশানু দে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এই উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পটি ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্পের অধীনে বেকার যুবক যুবতীদের বিনামূল্যে কর্মোপযোগী দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া মূল লক্ষ্য। বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান করে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ। মূলত পড়াশোনা শেষ করে বা স্কুলছুট বেকার যুবক যুবতীদের যাতে কর্মসংস্থান হয় তার জন্য এই প্রকল্প। তাই বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন তৎপর হয়েছে।
আরও পড়ুন Bowbazar| Durga Pithuri Lane: ফাটলের জন্য বাড়ি ছাড়া, পেট চালাতে বন্ধ করলেন না তেলেভাজার দোকান
এই ব্যাপার ও স্থানীয় একটি কারখানার মালিক সুমিত চক্রবর্তী জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন, জামুরিয়া শিল্প তালুকে কমপক্ষে ২০০ জনের বেশি যুবক-যুবতীদের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছেন জেলাশাসক। তাদের কারখানায ইতিমধ্যে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রথম স্থানে রয়েছে। ইতিমধ্যে তারা ৩০ জনকে কর্মোপযোগী শ্রমিকের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। পাশাপাশি, আগামী দিনে আরও কুড়িজনকে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।