পুলিশ সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। গুরুতর জখম আরও এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এই ঘটনা প্রসঙ্গে, স্থানীয় বাসিন্দা হাসিবুল শেখ দাবি করেন, বিস্ফোরণের পর বাড়ি থেকে তিন-চারজনকে ছুটে পালাতে দেখা যায়। জখম একজন পালাবার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে। এরপরে জখম ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। জনবহুল এলাকায় পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘিরে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতের পরিচয়ে তল্লাশি শুরু হয়, জানা যায় মৃত যুবকের বাড়ি বীরভূমের নানুর থানা এলাকায়। আর কোনও ব্যক্তি ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকে আছে কিনা তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল সিল করে পাহারা বসিয়ে দিয়েছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
advertisement
স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার রাত সাড়ে আট’টা নাগাদ পর পর দুবার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের আওয়াজে প্রতিবেশীরা হতচকিত হয়ে পড়েন। বাইরে বেরিয়ে স্থানীয়রা দেখেন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা খাসনাহার বিবি বলেন, “আমরা ভেবেছি বাজ পড়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘পার্টি আমাকে…’ শুভেন্দু গড়ে গিয়ে এ কী বললেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ? তোলপাড় বাংলা!
অন্যদিকে, রাজুয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কাটোয়া থানার আই সি এবং এসডিপিও। পুলিশ সূত্রের খবর, মন্টু শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে বাইরের জেলার দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে এনে গ্রামের বাসিন্দা তুফান চৌধুরী বোমা বাঁধার কাজ চালাচ্ছিল। বোমা বিস্ফোরণে তুফান চৌধুরী গুরুতর আহত হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ভাড়া করা দুষ্কৃতীরা বাড়িতে বোমা বাঁধছিল তখনই বিস্ফোরণ হয়। কোন মজুত বোমা বিস্ফোরণ হয়নি। স্থানীয়দের দাবি বিস্ফোরণের সময় ওই বাড়ির মধ্যে তিন-চারজন ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জখম দুষ্কৃতী তুফান চৌধুরী দশ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। এছাড়াও, ঘটনাস্থলে বোমার মশলা আছে মজুত আছে কিনা ও কোনও তাজা বোমা আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য বম্ব স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়েছে। শনিবার বম্ব স্কোয়াড রাজুয়া গ্রামে আসবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে।
আরও পড়ুন: কাজ করেন ওয়েল্ডিংয়ের , কিন্তু সাপের প্রতি তাঁর নিবিড় ভালবাসা, অবলা প্রাণীর জীবন বাঁচাতে
কাদের জন্য বোমা তৈরি করা হচ্ছিল তা জখম তুফান চৌধুরী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত জানা যাবে না বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই, রাজুয়ার মন্টু শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে কারা আসা যাওয়া করত সে বিষয়ে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তুফান চৌধুরী এলাকায় অশান্তি পাকাতে বোমা তৈরি করাচ্ছিল না অন্য কোন দুষ্কৃতীদলকে সরবরাহ করতে বোমা তৈরি করাচ্ছিল তার উত্তর খুঁজতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।