দেশে ধান চালের জেলা হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার। এই জেলা থেকেই উন্নত মানের চাল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, হায়দরাবাদ দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হয়। সেই জেলার সদর শহর বর্ধমানেও সোমবার সকাল থেকে চালের দামও চড়া। 38 টাকা কেজির মিনিকিট চাল বিক্রি হচ্ছে 42 টাকা কেজি দরে। মুদিখানা দোকানের মালিকরা বলছেন, ছোট সংসার। অনেকেই এক বেলা ভাত, রাতে রুটি খান। তাঁরা অন্য সময় পাঁচ কেজি করে চাল নিয়ে যান। এখন তাঁরাই পঁচিশ কেজির চালের বস্তা সঙ্গে তিন চার প্যাকেট আটা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। বাজার থেকে নিমেষে উধাও হয়ে যাচ্ছে পাউরুটি, মুড়ি নুডুলসের প্যাকেট। অনেকে একসঙ্গে তিন চার প্যাকেট দুধ কিনে বাড়ির ফ্রিজে ভরে রাখছেন। এই তাড়াহুড়োর জন্যই দাম বাড়ছে।
advertisement
করোনা আতঙ্কের গুজব ও কিছু জায়গায় বার্ড ফ্লুর জন্য ডিমের চাহিদা কমে গিয়েছিল। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিমের দামও কমে গিয়েছিল। পাইকারি বাজারে প্রতি পিস সাড়ে তিন টাকা দামে ডিম বিক্রি হচ্ছিল। পাড়ার দোকানে ডিমের দাম ছিল চার টাকা। সোমবার সকাল থেকেই খুচরো বাজার থেকে ডিম উধাও। এক খুচরো মুদিখানা দোকানের বিক্রেতা জানালেন, এতদিন একশো পাঁচ টাকা কেজি দরে মুসুর ডাল বিক্রি করছিলাম। আজ সেই দামে পাইকারি বাজারে ডাল কিনতে হয়েছে। কম করে পাঁচ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা পণ্য সামগ্রী মজুত থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়িয়ে সুযোগের ফায়দা লুটতে চাইছে।
Saradindu Ghosh