শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। তিনি আশা করছেন, রাজ্যে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি এবং সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা মিলবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বাংলায় বিজেপি সংগঠনকে আরও মজবুত করার কৌশলই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিবেশ এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তার অভিযোগ, বিধানসভার ভেতরে সাংবিধানিক নিয়ম মানা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দল কীভাবে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়েও মতবিনিময় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শুক্রবারই ভোল বদলেছিলেন ট্রাম্প, মোদির প্রশংসা করেছিলেন, এবার পাল্টা দিলেন মোদিও! কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ইতিমধ্যেই রাজ্যে নতুন আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বৈঠক থেকেই রাজ্যে আন্দোলনের নতুন রূপরেখা তৈরি হবে। নির্বাচনের আগে বিজেপি ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাইছে। রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দিল্লি গেছেন বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। মঙ্গলবার তিনি বিধানসভায় আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ করেন। শংকর ঘোষের কথায়, ”বিধানসভায় মারামারি হল, প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলা হল, অথচ স্পিকার কিছুই শুনলেন না।” নিজের শারীরিক অবস্থার কথাও তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিজের হবু বউয়ের সঙ্গে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কের চেষ্টা! বাধা দিতেই চরম সর্বনাশ করল কিশোরীর
পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেছেন, দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই জরুরি বৈঠক কেবল সাংগঠনিক পর্যালোচনার জন্য নয়, বরং ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে বিজেপির নতুন কৌশল তৈরির মঞ্চও। বাংলার রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে দিল্লির এই বৈঠক থেকে রাজ্য রাজনীতিতে বড় ঘোষণা আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে আগামী দিনে নির্বাচনে বিজেপি কতখানি জয়লাভ হয় বা লক্ষ্য পূরণে সফল হয় সেটা দেখার।