সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটেও এই ট্রেন্ডটিই দেখা গিয়েছিল ৷ বিপুল ভোটে তৃণমূল জয়ী হলেও বেশ কয়েকটি জেলায় নিজেদের ভিত জোরদার করেছে বিজেপি ৷ অপরদিকে, সিপিএম এবং কংগ্রেসের অস্তিত্বই মেলেনি একাধিক জেলাতে ৷ সেক্ষেত্রে মহেশতলার নির্বাচনী ফলেও বিজেপির উথ্থান বেশ চোখে পড়ার মত ৷
২০১৬ সালের তুলনায় চলতি বছরের উপনির্বাচনে বিজেপি তিনগুণ বেশি ভোট নিজেদের ঝুলিতে পুরতে পেরেছে ৷ অপরদিকে, বাম এবং কংগ্রেস যে ক্রমশ নিজেদের ক্ষমতা হারাচ্ছে রাজ্যে ৷ তা মহেশতলার উপনির্বাচনের ফলে আবারও স্পষ্ট হল ৷ গত বারের মত এবারও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে উপনির্বাচনের ময়দানে নামে বাম ৷ কিন্তু সেই জোটেও মুখরক্ষা হল না বাম-কংগ্রেসের ৷ গত বারের থেকেও ৫০ হাজার ভোট খুইয়ে তালিকায় কোনওরকমে তৃতীয় স্থানে নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছে তারা ৷
advertisement
২০১৮ সালের উপনির্বাচনের ভোটগণনা শেষে তৃণমূলের দখলে এসেছে ১,০৪,৮১৮টি ভোট ৷ বিজেপির দখলে রয়েছে ৪২,০৫৩টি ভোট ৷ অপরদিকে, সিপিএম এবং কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে নিজেদের ঝুলিতে মাত্র ৩০,৩৮৪টি ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে ৷ নোটা পেয়েছে ৩,৭৪২টি ভোট ৷ চলতি বছরের মহেশতলার উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে সুজিত ঘোষ এবং সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন প্রভাত চৌধুরী ৷
২০১৬সালের ভোটে তৃণমূলের দখলে ছিল মহেশতলা ৷ পরিসংখ্যান বলছে, সেই বছরে তৃণমূল প্রার্থী কস্তুরী দাসের দখলে ছিল মোট ৯৩,৬৭৫টি ভোট ৷ সিপিএম প্রার্থী শমিক লাহিড়ী ৮১,২২৩টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ৷ অপরদিকে, ১৪,৯০৯টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল বিজেপি ৷ পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, প্রায় ২৭,১৪৪টি ভোটে এগিয়ে এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি ৷ সেবার তৃণমূল ১২,৪৫২ ভোটের ব্য়বধানে পরাজিত করেছিল বাম-কংগ্রেস জোটকে ৷