দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে ২০২১ নির্বাচনের সময়ে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সমালোচনা করেছিলেন দলের ছোট-বড় সব নেতারা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের সব সমালোচনা উড়িয়ে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে মহিলাদের মাসিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেই অনুদান দেওয়া শুরু হবে।
দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে প্রকল্পের সুবিধা পেতে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলারা আবেদন করছেন। ব্যতিক্রম নয় বীরভূমের রামপুরহাটও। ১৬ অগাস্ট দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হতেই ভোররাত থেকে শিবিরগুলিতে মহিলাদের লাইন পড়ছে। জেলার সর্বত্র একই চিত্র। অত্যাধিক ভিড়ের জন্য কয়েকটি জায়গায় শুরুতে সামান্য বিশৃঙ্খলা হলেও পরে তা সামলে নেয় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা দেখেই আর চুপ থাকতে পারল না বিজেপি নেতৃত্ব। শাসক দলের দেখাদেখি তারাও রামপুরহাটের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লেটপাড়ার শিবির থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে কার্যত ক্যাম্প করে বসে গিয়েছে।
advertisement
সেখানে জিএসএফ প্রাইমারি স্কুলে ৯২, ৯৩ ও ৯৪ নম্বর বুথের জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করা হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্যাম্প করেছেন তৃণমূল। ঠিক তার সামনে রাস্তার উল্টোদিকে ক্যাম্প করেছে বিজেপিও। স্কুলের ক্যাম্পে সুবিধা নিতে আসা মহিলাদের ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন ৯৩ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি বিপ্লব নন্দী। সেখানে হাজির ছিলেন বুথ কমিটির সদস্য গোলক হালদার ও অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা।
তৃণমূলের ক্যাম্প থেকে যতটুকু ভিড় নিজেদের দিকে টেনে নেওয়া যায়, শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। এমনই দাবি তৃণমূলের। যদিও বিজেপি নেতা ৯৩ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি বিপ্লব নন্দী ও বুথ কমিটির সদস্য গোলক হালদার দাবি করেন ফাঁকা মাঠে তো গোল করতে দেওয়া যায় না তৃণমূলকে। তাই তারা ক্যাম্প করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একটি সরকারি প্রকল্প তাই তারা মানুষের সেবা করতে চান। যে সকল মহিলারা লিখতে পারেন না তাঁদের পরিষেবা দিচ্ছেন বলে দাবি বিজেপির।
কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক প্রকল্প রাজ্য সরকার নাম বদল করে চালাচ্ছে বলে দাবি তাদের। আগামী দিনেও আরও ক্যাম্প করবেন বলে দাবি করেন বিজেপি নেতারা।
অক্ষয় ধীবর