দল তাঁকে প্রার্থী করার পর তিনি জানিয়েছিলেন যে, "তিনি ভাগ্যবান যে বিজেপি তাঁকে লড়াইয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন।" প্রচার পর্বে বাচ্চাদের শাশুড়ির জিম্মায় দিয়ে সাত সাকালে পান্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়তেন চন্দনা। সঙ্গী হতেন স্বামী। এহেন চন্দনার নাম ফের উঠে আসে শিরোনামে। বাঁকুড়ায় প্রচারে এসে জনসভায় তাঁর নাম নেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, "আগামী দিনে বাংলাকে স্বপ্ন দেখাবে এই চন্দনা বাউরিরাই।"
advertisement
তাই সেই চন্দনা বাউরির কেন্দ্র শালতোড়ার দিকে এবারের প্রেস্টিজ ফাইটে নজর ছিল সব মহলের। এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই চন্দনা কাটার টক্কর দিয়েছেন প্রতিপক্ষের সঙ্গে। শেষে ৪১৪৫ ভোটে তিনি জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাঁর জয়ে ‘গর্বিত’ গেরুয়া শিবির। বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চন্দনা বাউরিকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আপনার জয়, আমাদের সকলের জয়’।
অন্যদিকে, চূড়ান্ত রায় না হলেও বাংলায় ২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে সরকার গঠনের পথে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও দিনভর নাটকের পর নন্দীগ্রাম আসনে ১৬০০ ভোটে জিতলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,‘নন্দীগ্রাম যা রায় দেবে মাথা পেতে নেব’। তবে একইসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলছে তৃণমূল।