বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড় কালীতলায় বিগত প্রায় ৩০০ বছর ধরে বড় কালী মায়ের পুজো হয়ে আসছে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সমস্ত জায়গায় সাধারণত পুজোর পরে কালী মায়ের বিসর্জন হলেও পুরনো রীতি অনুযায়ী দীপান্বিতা অমাবস্যার পরবর্তী অমাবস্যার পর এই বড় কালী মায়ের বিসর্জন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কম দামে চোরাই মোবাইল বিক্রি! পুলিশ হানা দিতেই খেল খতম, ৩২টি ফোন সহ গ্রেফতার ২ যুবক
প্রাচীন সেই রীতি মেনে পুজোর প্রায় ৪৮ দিন পর বিষ্ণুপুরের বড় কালী মায়ের প্রতিমা নিরঞ্জন করা হল। কালী মায়ের প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে মন্দির নগরীর শহরে মানুষের ঢল নামে। নাচে-গানে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা করার পর স্থানীয় রঘুনাথ সায়রে মধ্যরাতে মাতৃ প্রতিমাকে নিরঞ্জন করা হয়।
কালীপুজোর পর দেড় মাস মন্দিরে মা বিরাজ করেন। এই ক’টা দিন মায়ের মূর্তি পূজো হয়। বিসর্জনের পর থেকে বছরভর ঘটে পূজিতা হন মা। বড় মায়ের মন্দিরে সারা বছরই ভক্ত সমাগম লেগে থাকে। তবে মায়ের দর্শন পেতে গেলে ফের প্রায় এক বছরের অপেক্ষা করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই তাই মায়ের বিদায় বেলায় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মন।
