কিন্তু এই সময়কেই কাজে লাগিয়ে স্কুলকে নতুন রূপ দিতে ব্যাস্ত এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। নিজের মনের ভাবনাকেই রং তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এমনকি কাজের সাথে সাথে এই পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে সচেতনতার বার্তা দিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যাবহারের ছবিও ফুটিয়ে তুলছেন স্কুলের দেওয়ালে। এছাড়াও পুরো লকডাউনের সময় পাখিদের বাসস্থানের জন্য স্কুলের গাছে হাঁড়ি বাঁধা, স্কুল চত্বরে সুন্দর ফুলের বাগান, স্কুলে মাছের চাষ ও বিভিন্ন সবজির চাষ করতেও দেখা যায় শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের একসাথে।
advertisement
আরও পড়ুন: একরত্তি শরীরগুলো পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে, আরও ৩ শিশুর মৃত্যু উত্তরবঙ্গে!
প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার দাস জানান, "কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর যখন বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন স্বাভাবিক হবে। তখন ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিদ্যালয়কে আরো নতুন রূপে দেখতে পায় তার জন্য এই প্রচেষ্টা। এখানে রং তুলিতে পরিবেশ সচেতনতার উপর বিভিন্ন ছবিকে যেমন গুরুত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে, তেমনি সৌন্দর্যায়নের জন্য যামিনী রায়ের বিভিন্ন চিত্রকলাও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে স্কুলেরই শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে। এতে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের প্রতি যেমন ভালোবাসা বাড়ছে ঠিক তেমনি ছাত্রছাত্রীদের হাতের ছোঁয়ায় নতুন রূপ পাচ্ছে স্কুল।" শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা লক ডাউনের মধ্যে একসাথে স্কুলে একত্রিত হয়ে এমন উদ্যোগে দারুণ উৎসাহী। তারা জোর কদমে একসাথে করে যাচ্ছে স্কুলকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার কাজ।
