কী সেই পদক্ষেপ! বীরভূমের স্কুল কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে জানা যায়, এবার থেকে সর্বোচ্চ হাজিরার ক্ষেত্রে স্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে উপস্থিতির হার কম হলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না পড়ুয়ারা! স্কুলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক কৌস্তভ দত্ত বলেন, “পড়ুয়ারা যাতে নিয়মিত স্কুলে আসে এবং তাদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতেই এই ঘোষণা ও উদ্যোগ। স্কুলের এই উদ্যোগে স্কুলমুখী হবে পড়ুয়ারা সেখান থেকেই এই চিন্তা ভাবনা। এই পদক্ষেপে খুশি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা।”
advertisement
আরও পড়ুন: দেড় কোটির ঘাট তারাপীঠে…! ৫ বছরেই যা অবস্থা, দেখলে আঁতকে উঠবেন
প্রসঙ্গত, সময়টা তখন ১৯৫৫ সাল, স্থাপিত হয়েছিল রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন। শহরের অধিকাংশ অভিভাবক এই নামি স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করাতে চান। ২০০৮ সাল থেকে প্রত্যেক বছর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের সেরা দশের তালিকায় স্থান দখল করে আসছে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। এহেন নামি বিদ্যালয়েও স্কুলছুট বা স্কুলে না আসার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কাগজ কলমে আনুমানিক প্রায় ৩০০০ পড়ুয়া থাকলেও তাদের একাংশ নিয়মিত স্কুলে আসছে না। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই অবস্থায় ছাত্রদের উপস্থিতির হার বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যেসব ছাত্রের সর্বোচ্চ উপস্থিতি থাকবে তাদের স্কুলের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে কড়া মনোভাবও প্রকাশ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনেক সময় দেখা যায়, কিছু ক্লাসে সারা বছর স্কুলে উপস্থিতির হার অনেক কম থাকে। তাই একই বিজ্ঞপ্তিতে স্কুলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্তত ৭০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না পড়ুয়ারা। ছাত্র ও অভিভাবকদের এব্যাপারে যথেষ্ট যত্নশীল হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে বলে স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তির পরেই অনেকটাই স্কুল ছুট কমেছে রামপুরহাটের এই নামিদামি স্কুলে।
সৌভিক রায়





