প্রথমে তারা স্থির করেন তাদের টার্গেট। তারপর ধীরে ধীরে সেই টার্গেটে থাকা ব্যক্তির ওপর নজরদারি চালায় বেশ কয়েক দিন। দীর্ঘদিন নজরদারি চালানোর পর তারা টার্গেটে থাকা সেই ব্যক্তির জন্য তৈরি করে ফাঁদ। ঠিক তারপরই ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে সেই টার্গেটে থাকা ব্যক্তিকে। এছাড়াও তাদের গ্যাং-এর অনেক লোক ছড়িয়ে থাকে তাদের স্থির করা এলাকাগুলিতে। সেই গ্যাংয়ের সূত্র ধরে তারা সংগ্রহ করে টার্গেটে থাকা সেই ব্যক্তির বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য। তারপর সব তথ্য সংগ্রহের পর ধীরে ধীরে তারা সেই ব্যক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করে তাদের মূল লক্ষ্যে পৌঁছানোর।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমানে মারাত্মক ঘটনা, কলকাতার ব্যবসায়ীর সঙ্গে যা ঘটল! শিউড়ে উঠছেন সকলে
ঠিক এমনই একটি অভিযোগের বিশেষ তদন্তে বীরভূমের সিউড়ির সাইবার ক্রাইম থানা এইরকম দুইজন অপরাধীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে কোন অপরাধ করার আগেই । জামতারা গ্যাংয়ের এই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার সঙ্গেসঙ্গেই তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় এক লক্ষ টাকা এবং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা ঝাড়খণ্ড নম্বর প্লেটের একটি বাইক। এই দুই ব্যক্তি ছাড়াও এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আছে জামতারা গ্যাংয়ের আরও সদস্য। সেই অভিযুক্ত থাকা বাকি অপরাধীদের খোঁজ চালাচ্ছে সিউড়ির সাইবার ক্রাইম থানা। জানা গিয়েছে এক ব্যক্তির OTP ব্যাবহার করে সিউড়ীর একটি ATM থেকে টাকা তোলার কথা ছিল তাদের। তবে এই অপরাধ হওয়ার আগেই তাদের টাওয়ার লোকেশন ধরে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং তৎক্ষণাৎ জামতারা গ্যাংয়ের অপরাধীদের গ্রেফতার করে বীরভূমের সিউড়ি থানার পুলিশ ।