তবে গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে নয় বরং প্রধানত শীতকাল এই ধরনের অপরাধের মরশুম। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলায় গ্যাংয়ের মহিলা সদস্যরা ঢুকে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভিক্ষা করার ছলে বিভিন্ন বাড়িতে ও মন্দিরে ঢুকে সবটা দেখে নিচ্ছে। এর পর সুযোগ বুঝে লুট করে চম্পট। কিছু ঘটনাও ইতিপূর্বে ঘটে গিয়েছে। পুলিশ এবার এই সমস্ত গ্যাংয়ের কাজকর্ম রুখতে সচেতনতার উপর জোর কদমে নেমে পড়েছে। এলাকায় বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা থেকে কেউ এলে খবর দেওয়ার জন্য মাইকিং করেছে মুরারই থানার পুলিশ প্রশাসন।
advertisement
পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সমস্ত গ্যাংয়ের সদস্যারা বিভিন্ন স্টেশন চত্বর ও ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী ভাবে তাঁবু খাটিয়ে থাকতে শুরু করেছে। কেউ ভিক্ষা করছে। কেউ বা বেলুন, ছোটদের মাটির খেলনা তৈরি করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছে। আর পুরুষরা পাখি ধরতে মাঠেঘাটে, জনবসতি এলাকায় ঢু মারছে। আবার অনেকে শীতের পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছে উত্তরপ্রদেশের কিছু মানুষ। এদের কেউ কেউ ঘর ভাড়া নিয়ে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করছে।
তবে তাঁরা যে সবসময় সফল হচ্ছে সেটা না। কখনও চোর, কখনও ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিরও শিকার হচ্ছে তাঁরা। মুরারইয়ের রাজগ্রাম এলাকায় টোটোয় মাইক বেঁধে প্রচার করতে দেখা যায় পুলিশকে। মাইকে বলা হচ্ছে, বিহার, ইউপি, হরিয়ানা থেকে আসা ব্যক্তিদের ঘর ভাড়া দেওয়ার আগে ভাল করে পরিচয় পত্র দেখে নিন। কোনও ধরনের সন্দেহ হলেই থানায় জানান। ঘর ফাঁকা রেখে যাবেন না। পরিচিত কাউকে বাড়িতে রেখে তবেই যাবেন। যদি দেখেন এলাকার কোনও ফাঁকা জায়গায় গ্যাং ঘাঁটি গেড়েছে, তা হলে অতিসত্বর থানায় খবর দিন। এছাড়াও বাড়ির বাইরে দাড়িয়ে অন্যদের কাছে কেনাকাটা করুন, কোনও ভাবেই তাদের বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি না দেবার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন পুলিশ প্রশাসন।
