স্থানীয়রা বলছেন, ‘বয়স বাড়লেও রতনের স্বভাব যায়নি। এখনও ভোরবেলা লাল মাটির রাস্তায় হেঁটে বেড়ান তিনি। তাঁর টহল না শুনলে সিউড়ির সকালই অসম্পূর্ণ।’ দীর্ঘদিনের শিল্পীজীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন রতন কাহার। পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র, তথ্য-সংস্কৃতি দফতর-সহ বিভিন্ন সংস্থা তাঁকে সম্মান জানিয়েছে। কয়েক বছর আগে পেয়েছেন দেশের অন্যতম বড় সম্মান পদ্মশ্রী।
আরও পড়ুন-নভেম্বরেই লাগবে ‘জ্যাকপট’…! বিরল কাকতালীয় যোগে ৩ রাশির ধন-সম্পদের ফোয়ারা, খুলবে পোড়া কপাল
advertisement
গানের জগতে রতন কাহারের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে তাঁর লেখা বিখ্যাত গান ‘বড়লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল’। ১৯৭২ সালে গানটি লিখেছিলেন তিনি। প্রথম গেয়েছিলেন স্বপ্না চৌধুরী। সম্প্রতি বলিউড র্যাপার বাদশাহ তাঁর ‘লাল গেন্দা ফুল’ গানে এই পংক্তি ব্যবহার করায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়, আর দেশজুড়ে আবার শোনা যায় রতন কাহারের নাম।
লোকশিল্পীর ভাষায়, ‘কার্তিক মাস ধর্ম মাস। মহাপ্রভু চৈতন্য কলিযুগে এসে হরিনাম দিয়ে সকলকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। সেই স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতেই আমি এত বছর ধরে টহল করি। আমার একটা অভ্যাস হয়ে গেছে।’ তিনি জানান, ১৯৭৩ সাল থেকে নিয়মিত টহল গান করে আসছেন। সংসার করার বছর থেকেই এই প্রভাত ফেরি যাত্রা তাঁর নিত্যকর্মে পরিণত হয়। বয়সের ভারে আর আগের মতো সিউড়ির সব প্রান্তে ঘুরতে পারেন না রতন কাহার।
আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আগে বড় বাগান, পুলিশ লাইন, মাঠ-ঘাট সব জায়গায় টহল দিতাম। এখন আর পারি না। শরীর চলছে না। খুব ধীরে হাঁটতে পারি। তবুও আলো পাই বলেই যাই। যতদিন পারব, ততদিনই করব।’