আরও পড়ুন: এমআরআই হবে আরও সহজ, বাজারে আসছে পোর্টেবল ডিভাইস!
ক্যালেন্দিস মাল অনেক আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, মৃত্যুর পর কেউ যেন চোখের জল না ফেলে। বরং সবাই যেন আনন্দ করে, যেন তাঁর বিদায় হয় হাসিতে, নয় শোকে।
সেই মতোই নাতি-নাতনিরা ব্যান্ড পার্টি ডেকে, বাজি ফাটিয়ে, শ্মশান পর্যন্ত ঠাকুমাকে পৌঁছে দেন আনন্দ আর আবেগের মিশ্রণে।
advertisement
নাতজামাই জয়দেব মাল বলেন, “ঠাকুমা নিজে আমায় বলে গিয়েছিলেন, আমি মারা গেলে যেন ব্যান্ড বাজনা হয়, বাজি ফাটানো হয়। তিনি চাইতেন আনন্দে যেতে। তাই আমরা আজ তাঁর কথা রাখলাম, আমাদেরও ভাল লাগছে যে তাঁর ইচ্ছা পূরণ করতে পারলাম।” নাতি রবিন মাল বলেন, “আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম, ঠাকুমা মারা গেলে আমরা কান্না করব না, আনন্দ করব। ঠাকুমাই বলেছিলেন, ‘তোরা আনন্দ করিস।’ আজ আমরা তাই করেছি। সবাই মিলে ঠাকুমাকে আনন্দে বিদায় দিয়েছি।”
সিউড়ির বারুইপুর গ্রামে এখন সবার মুখে একটাই কথা “এমন শেষযাত্রা কেউ দেখেনি আগে!” শোকের দিনে আনন্দের বার্তা ছড়িয়ে দিলেন ক্যালেন্দিস মাল। তাঁর জীবনের শেষ ইচ্ছাই যেন শেখাল মৃত্যুতেও হাসি থাকতে পারে, যদি থাকে ভালোবাসা আর মানসিক শক্তি।





