কাজের সময় নেই নির্দিষ্ট কনও বেঁধে দেওয়া ঘড়ির কাঁটা। সকাল-সন্ধ্যা এক করে তৈরি হচ্ছে পিতলের বাসন, ঘটি-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। কিন্তু বাজারে দাম নেই। সেই সঙ্গে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় শ্রমিকরা বলছেন, পরবর্তী প্রজন্ম আর এই পেশায় আসতে চাইবে না। ‘এভাবে চললে হয়তো কয়েক বছর পর টিকরবেতার পিতল শিল্পই হারিয়ে যাবে’, বলছেন অভিজ্ঞ কারিগররা।
advertisement
শুধু কাজের দিকেই নয়, জীবনযাপনের চিত্রটাও একইরকম হতাশাজনক। গ্রামের একমাত্র হাসপাতাল রয়েছে কাগজে-কলমে। বাস্তবে, সাধারণ চোখ পরীক্ষা বা রক্তের রিপোর্ট করানোর জন্যও যেতে হয় শহরের হাসপাতালে। ছোটখাটো রোগ হলও চিকিৎসা মেলে না সঠিকভাবে। বাসিন্দারা জানালেন, ‘হাসপাতাল আছে, ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, চিকিৎসা তো দূরের কথা।’
তবু স্বপ্ন দেখা থেমে নেই। কেউ কেউ এখনও আশা করেন, সরকারের নজর পড়বে তাদের দিকে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষণ ও বাজারের সুযোগ পেলে পিতল শিল্প ফিরে পাবে পুরনো জৌলুস। পাশাপাশি চাই উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবাও। স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে চাই একটু সহায়তা। সরকারি প্রকল্পের আলো ছড়াক এ গ্রামেও—এই প্রার্থনাই করছে টিকরবেতা।
সুদীপ্ত গড়াই