লক্ষ্মীশ্বর সোরেনের মা কালবুড়ি সোরেন আর বাবা লক্ষীরাম সরেন। জানা গিয়েছে, লক্ষীশ্বরকে কোনও এক সময় তার জন্মদিনের বিষয়ে জানিয়েছিল তার মা-বাবা। এরপর পুলিশ রবিবার গ্রামে গেলে কথাটা কোনওভাবে পুলিশের কানে পৌঁছে যায়। তারপরই থানার পুলিশকর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন আদিবাসী ওই শিশুর জন্মদিন পালনের দায়িত্ব নেবেন তাঁরা। এরপর থানায় এসে মাতৃস্নেহ টিম বাকি পুলিশকর্মীদের জন্মদিন পালনের কথা বলতেই গতকাল প্ল্যানিং শুরু হয়ে যায়। তারপর এদিন দুপুর হতেই গ্রামে পৌঁছায় পুলিশ। কোনও কথা বলার আগেই বেলুন দিয়ে সাজানো শুরু হয়ে যায় বাড়ি। লক্ষ্মী সোরেনের মাথায় বার্থডে টুপি পরিয়ে শুরু হয় জন্মদিন পালন। তখন লক্ষীশ্বরের মুখে হাসি আর ধরে না।বেজায় খুশি সেপুলিশকাকুকের কাজে।
advertisement
এদিকে, একেবারে অবাক হয়ে যান মা-বাবা। পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রামবাসীরাও। জন্মদিন উপলক্ষে এক রঙিন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল গ্রামে। তবে জন্মদিনের আনন্দ যতই থাক, ছোট থেকে বড় গ্রামের প্রত্যেককেই মাস্ক পরিয়ে তবেই হয়েছে সেলিব্রেশন। মানা হয়েছে যথাযথ সামাজিক দূরত্ব।
Supratim Das