কেউ কেউ আবার বলে, ‘দুর্গাবাড়ির পুজো’, ‘সোনাঝুরির পুজো’। আর পাঁচটা পুজোর থেকে এ পুজোর আবহ একেবারেই আলাদা। সোনাঝুরির জঙ্গলের মাঝে পুজো, বুনোফুলের গন্ধ, সকাল সন্ধে মাদলের বোলদেবী আবাহনের এ ছবি যেনো এক অপূর্ব রূপ। প্রত্যেকটি বছর বনেরপুকুর ডাঙা গ্রাম থেকে এই পুজোয় যোগ দেন সাঁওতাল পরিবারগুলি।
আরও পড়ুনঃ হাতে লম্বা সময়, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন দিঘা জগন্নাথ মন্দির, দক্ষিণা-সহ পুজো দিতে কত টাকা লাগে জানেন?
advertisement
প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে শিল্পী বাঁধন দাসের মৃত্যুর পরে তাঁরই ছাত্র শিল্পী আশিস ঘোষের হাত ধরে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন এই পুজোর আয়োজন করেন প্রত্যেক বছর। অন্যান্য জায়গার মতো এখানে রয়েছে দুর্গামণ্ডপ। সেখানেই প্রথা মেনে পুজো হয় প্রতি বছর। দেবীমূর্তি, পুজোর আয়োজন, পুজোর সাজে অনন্যতার ছোঁয়া। তাই তো অন্যান্য পুজোর থেকে সোনাঝুরি জঙ্গলের এই হীরালিনী দুর্গাপুজোর আকর্ষণ মানুষের কাছে অনেক বেশি।
পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে পুজো শুরু করার সময়ে দেবীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন শিল্পী বাঁধন দাস। তবে সে বছরই আমেরিকায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিস্ফোরণ, ইরাক যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের ঘটনার প্রতিবাদে পরের বছর থেকে দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয় পদ্মফুল। বিশ্ব শান্তির বার্তা দিতেই এই ফুল দেওয়া হয়।