TRENDING:

Bidhan Parishad : ১৯৬৯ এর পর কি ২০২১? জুলাইতে 'বিধান পরিষদ' গঠনের বিল পেশে ইতিহাস রচনার শুরু

Last Updated:

একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ইস্তেহারে বিধান পরিষদ গঠনের (Bidhan Parishad Bill) প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কথা মতোই এবার সেই প্রস্তাব পেশ করার পথে নবনির্বাচিত সরকার (Mamata Banerjee Govt)।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
advertisement

প্রস্তাব পাশ হলে তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। তারপর ছাড়পত্র পেলে লোকসভা ও রাজ্যসভার দুই কক্ষে পাশ করাতে হবে এই বিল। তারপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্যে যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই অনুমোদন আসলে রাজ্য চালু হবে বিধান পরিষদ। এই রাজ্যে ২৯৪ আসনের বিধানসভায়। সর্বোচ্চ আসন হবে ৯৮। তবে কখনই ৪০ এর নীচে আসন হবে না। বিধান পরিষদ (Bidhan Parishad) প্রসঙ্গে উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন। কেন বিধান পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ? বাংলায় এই বিলের প্রাসঙ্গিকতা কতটা ইত্যাদি।  রইল তারই উত্তর।

advertisement

বিধান পরিষদ কী?

রাজ্য আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট বা এক কক্ষবিশিষ্ট হতে পারে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ এবং নিম্ন কক্ষ বিধানসভা। ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই বিধান পরিষদের অস্তিত্ব নেই। পশ্চিমবঙ্গও এক কক্ষ বিশিষ্ট।

বিধান পরিষদের গুরুত্ব ও ক্ষমতা কী?

ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার কোনও অবস্থাতেই তা ৪০-এর কমও হবে না। বিধান পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি ৬ বছর অন্তর বিধান পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতি ২ বছর অন্তর বিধান পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করে থাকেন।

advertisement

বিধান পরিষদের আইনি ক্ষমতা কী?

অর্থবিল ছাড়া যে কোন বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায়। বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনও বিলকে বিধান পরিষদ সর্বাধিক ৪ মাস পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে।

বিধান পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা কী?

অর্থ বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায় না। বিধান পরিষদের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে।

advertisement

বিধান পরিষদের শাসন ক্ষমতা কী?

সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের মন্ত্রীসভা শুধুমাত্র নিম্নকক্ষ অর্থাৎ বিধানসভার কাছেই দায়বদ্ধ। ফলে শাসন সংক্রান্তও তেমন ক্ষমতা নেই বিধান পরিষদের।

বাংলায় বিধান পরিষদ নেই কেন?

পশ্চিমবঙ্গে একসময় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ প্রায় 'গুরুত্বহীন' হয়ে পড়ে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ সহ বহু রাজ্যে এই উচ্চকক্ষ বিলুপ্ত করা হয়। ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ অবলুপ্তির একটি প্রস্তাব পাস হয়। এরপর ভারতীয় সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ (অবলুপ্তি) আইন, ১৯৬৯ পাস হয়। ১৯৬৯ সালের ১ অগস্ট এই পরিষদ অবলুপ্ত হয়। যদিও ২০১১ সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পুনরায় এই পরিষদ গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

advertisement

কোন কোন রাজ্যে আছে বিধান পরিষদ?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

বর্তমানে ভারতের মোট ৭ টি অঙ্গরাজ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার অস্তিত্ব আছে। সেগুলি হল, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তেলুগু দেশম পার্টি জানিয়েছে, ক্ষমতায় এলে তারা আবার বিধান পরিষদ অবলুপ্ত করবে। পঞ্জাবে অকালি দল-BJP জোট ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল বিধান পরিষদ পুনরায় গঠন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bidhan Parishad : ১৯৬৯ এর পর কি ২০২১? জুলাইতে 'বিধান পরিষদ' গঠনের বিল পেশে ইতিহাস রচনার শুরু
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল