বহরমপুরের খাগড়ায় দীর্ঘদিন ধরে দীপায়ন তরফদার তাঁর নিজের বাড়িতে বসেই রোগী দেখেন। ডাক্তার হিসেবে শহরে যথেষ্ট নামডাকও রয়েছে। অভিযোগ, কিছু দিন আগে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর আত্মীয়রা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় ও ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই সময় চিকিৎসক সংগঠন তার পাশে এসে দাঁড়ান। বহরমপুর থানার পুলিশ বিষয়টি সামাল দেয়। সেই ঘটনার সঙ্গে শুক্রবারের ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তার তদন্ত করছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
advertisement
দীপায়ন তরফদার বলেন, " এই ঘটনার পর আমি যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছি। কিছু দিন আগে এক রোগীর পরিবার আমার চেম্বারে চড়াও হয়। আমি সমস্ত ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যালের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়।
আরও পড়ুন : আগামী বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমী ও একাদশীতে চন্দননগর আর অন্ধকার হবে না
ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন আইএমএ-র জেলা সেক্রেটারি ডাঃ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, " চিকিৎসক মহল যথেষ্ট আতঙ্কিত। আমি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি যাতে জেলার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। না হলে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।"
আরও পড়ুন : খেলার মাঠেও বিপদ! নরেন্দ্রপুরে পাঁচ কিশোরকে লক্ষ্য করে বোমা মারল দুষ্কৃতীরা
এইভাবে চিকিৎসকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় শহর ও শহরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী শহরের নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্টভাবে চিন্তিত বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, " বহরমপুর দুর্বৃত্তির নগরে পরিণত হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে চিকিৎসকের উপর আক্রমণ হচ্ছে, অথচ সবাই চুপ। কিন্তু যত আক্রমণ, সব কংগ্রেসের উপর। "