রাজ্যের বিভিন্ন করিডরে অতিরিক্ত “টিটি” নিয়োগ করার কাজও ইতিমধ্যেই করে নিয়েছেন মুঙ্গের কারবারিরা। মূলত খাবার আর মিঠাই পৌঁছে দেওয়াই কাজ টিটি দের।
রাজ্যে প্রায় ৫ টি করিডরে বিপুল টিটি মোতায়েন করেছে এই মুঙ্গের কারবারিরা। তাদের ওপর বিশেষ নজর রাজ্য গোয়েন্দাদের। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্যের গোয়েন্দারাও এই টিটি এবং রেসারদের ওপর নজর রেখেছে বলেই গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন- মুখোমুখি বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডের দুই পক্ষ! পঞ্চায়েতের পারদ চড়ছে কেশপুরের মাটি
নজরদারি এড়াতে টিটি এবং রেসাররা ধাপে ধাপে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে খাবার এবং মিঠাই কারবার চালাচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। এই সমস্ত ইনপুট পাওয়ার পরেই বজুদিহ, ফারাক্কা, ডালখোলা সহ একাধিক করিডরে নজরদারি বাড়িয়েছেন গোয়েন্দারা।
এই সমস্ত জায়গায় টিটি এবং রেসাররা নিজেদের সেফ মনে করে। রিসিভারদের খাবার তুলে দিয়েই খুব সহজে তারা পাড়ি দিয়ে দিয়ে পারে নিজেদের ডেরা র দিকে।
রাজ্য গোয়েন্দা সুত্রে খবর , কড়া নজরদারির ফলে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু টিটি এবং রেসারদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেশ কিছুদিন আগেই বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং মালদা থেকে একাধিক কারবারিদের গ্রেফতার করেছিল গোয়েন্দা এবং পুলিশ।। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কিছু কারবারিদের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- মহিলার পেট থেকে বেরিয়ে এল এ কী! অপরেশনের পর চিকিৎসকরাও হতবাক
কী এই খাবার এবং মিঠাই?
গোয়েন্দা সূত্রে খবর খাবার মানে, সেভেন এম এম পিস্তল, মিঠাই মানে তার গুলি এবং বোমের সাংকেতিক কোড নাম। এর আগে সেভেন এম এম পিস্তলে র নাম ছিল সাত ঘরা আর গুলির সঙ্কেতিক নাম ছিল দানা। কিন্ত এই সমস্ত সংকেতিক কোড গোয়েন্দারা জানতে পারায় এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরও বিশেষ বিশেষ কোড ব্যবহার করছে অস্ত্র কারবারিরা। এমনটাই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
টিটির কাজ হল সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। আর রেসারদের কাজ হল রাজ্যের সীমানা পর্যন্ত মোটরসাইকেল অথবা অন্যান্য গাড়িতে করে অস্ত্র টিটির হাতে পৌঁছে দেওয়া।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর কিছুদিন বাকি। বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা এবং পুলিশের কার্যত করা নজরদারি চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন এবং গোয়েন্দাদের মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে ।