বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণেশ্বর, আবার উল্টো পথে দক্ষিনেশ্বর থেকে বিমানবন্দর, রাস্তার দুদিকেই একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কোথাও আবার বেশ কয়েক ফুট রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। সেই সব খানাখন্দের গভীরতা কোথাও কোথাও প্রায় এক ফুট। ফলে বৃষ্টি হলেই সেইসব খানাখন্দ ভরে যাচ্ছে জলে। গাড়ি চালক বা বাইক আরোহীরা বুঝতে না পেরে অনেক সময় সেই সব খানাখন্দের ওপর দিয়ে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। আলম বাজারের বাসিন্দা সুদীপ দে চাকরি করেন সল্টলেকে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে অফিস খুলেছে । কিন্তু বাস না চলায় বাইক নিয়ে যাতায়াত করছেন সুদীপবাবু। তিনি বলেন, "শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফেরার সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেলঘড়িয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আগে রাস্তার উপর একটা গর্তে বাইকের চাকা ঢুকে যায়। আমি পড়ে যাই। ভাগ্য ভাল ছিল যে পেছনে সেই সময় কোনও গাড়ি ছিল না।" বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দোকান চালানো এক ব্যক্তির বক্তব্য, "করোনার জন্য এখন বাস চলছে না। অন্যান্য গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। বর্ষাও সবে শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে। আরও বৃষ্টি হবে। প্রশাসন তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নিলে তখন পরিস্থিতি যা দাঁড়াবে তা এখন থেকে ভেবেই ভয় করছে।"
advertisement