মমতা বলেন, “হালিশহরে একটা দেড় মিনিটের টর্নেডো হয়ে গিয়েছে। হালিশহরে ৪০ টা বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজপুরেও ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত বিষয়টি দেখছে। চুঁচুড়াতেও টর্নেডো হওয়ায় ৪০ টির মতো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাণ্ডুয়াতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জন মারা গিয়েছে।”
অন্যদিকে, ইয়াসের গতিপথ ক্রমশ ওড়িশার দিকে ঘুরে যেতে থাকলেও এ দিন আরেক আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন মমতা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা সবাই নিশ্চই প্রার্থনা করব যাতে বেশি কিছু না হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও শোনা যাচ্ছে যে সাগর দ্বীপেও এটা ধাক্কা মারতে পারে। যদিও আমরা সবাই তৈরি আছি। প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে আমরা উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে এসেছি। চিন্তা করার বা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। রাতটা একটু সামলে থাকতে হবে।” এই ঘূর্ণিঝড়ে যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই অনেক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার ৷ এদিন সেই কথাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, যে জেলাগুলিতে ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে, সেখানে ব্লকে ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ৷
advertisement
প্রসঙ্গত, দুর্যোগ মোকাবিলায় এবারও রাত জাগবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এই কথাই জানালেন তিনি। গত বছর আমফানের সময়ও নবান্নের কন্ট্রোল রুমেই সারারাত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সারারাত ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন ৷ প্রয়োজনীয় নির্দেশও সঙ্গে সঙ্গে দিয়েছিলেন ৷মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এদিন রাতে তিনি নবান্নেই থাকছেন ৷ বুধবার সকালে যখন ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়বে, সেই মুহূর্তের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে তিনি কন্ট্রোল রুমে থাকবেন ৷ কোথায় কত ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, পুরোটাই সঙ্গে সঙ্গে খতিয়ে দেখবেন ৷