মন্দির প্রাঙ্গণেই রয়েছে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা, প্রতি রাতের জন্য ভাড়া ৬০০ টাকা। পাশাপাশি রয়েছে ভোগ গ্রহণের ব্যবস্থা, এক জনের জন্য যার খরচ ১০০ টাকা। ভোগ পেতে হলে ফোন করে আগাম জানাতে হবে বা সকাল সকাল মন্দিরে গিয়ে বুকিং করতে হবে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫০ থেকে ১০০ জনের দলগত ভোগের বুকিংও সম্ভব। যোগাযোগ করতে হবে ৮৩৪৮৯৬৮২৪৪ এই নম্বরে। সতীপীঠের পাশেই রয়েছে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটে। বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কবি কুমুদরঞ্জনের জন্মও এখানেই। অজয় নদের কিনারে, গ্রামের একদম শেষ প্রান্তে তাঁর জন্মস্থানটি আজও বহু মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্র।
advertisement
কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের লেখা ‘ছুটি’, ‘হয়তো’, ‘শেষদান’, ‘আমাদের সঙ্গী’ এই জনপ্রিয় কবিতাগুলোর পাশাপাশি নূপুর, উজানী, বনতুলসীর মতো কাব্যগ্রন্থও পাঠকের মনে বিশেষ জায়গা দখল করে। বর্তমানে কবির বংশধরেরা কলকাতায় থাকেন, তবে বাড়িটি দেখভালের জন্য রয়েছেন কেয়ারটেকার। অজয় নদের ধারে নির্জন, শান্ত এই এলাকা শীতের মরশুমে পিকনিকের জন্যও অসাধারণ এক গন্তব্য। প্রকৃতি, ধর্মীয় পরিবেশ এবং সাহিত্যের স্মৃতিময় ছোঁয়া, সব মিলিয়ে উজানী সতীপীঠ ও কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটে শীতের দিনে ঘুরে দেখার জন্য নিঃসন্দেহে সেরা ঠিকানা।