সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিংয়ের বাজার হাট থেকে শুরু করে মাতলা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা-সহ সমস্ত এলাকায় গান গেয়ে সুর আর কথার জাল বুনে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন এই শিল্পী। এর পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আবেদনও জানান তিনি। বাউল শিল্পীর প্রতিবাদের ভাষায় এই গান শোনার জন্য রাস্তার দু'পাশের সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়।
advertisement
গানের মাধ্যমে প্রতিবাদের পাশাপাশি সচেতনতা বার্তাও ছড়িয়ে দেন বাউল স্বপন দাস। তিনি জানান যদি রাজ্য সহ কেন্দ্র সরকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির আইন আনে তাহলে এই সমস্ত অপরাধ বন্ধ হতে পারে। তাঁর এই অভিনব প্রচেষ্টায় সাধুবাদ দেন এলাকার মানুষ।
নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ার দায়টা সাধারণত পুলিশ ও প্রশাসনের ওপরে গিয়ে পড়ে৷ তবে পশ্চিমবঙ্গে নারীদের ক্ষেত্রে সচেতনতা বেড়েছে৷ তাঁরা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন৷ তবে গত কয়েক বছরে নৃশংসতা যে বেড়েছে তা অস্বীকার করা যায় না৷ অ্যাসিড হামলা, খুন করে পুড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটছে অহরহ। নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন ও নৃশংসতা দুইই বেড়েছে৷ তাই পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি প্রয়োজন ঘরে ঘরে সচেতনতা বৃদ্ধি। ক্যানিংয়ের বাউল শিল্পী কিছুটা হলেও সেই দায় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
রুদ্র নারায়ণ রায়