বীরভূমের সিউড়ির ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী রতন কাহার। একসময় ‘আলকাপ’-এর দলে যোগ দিয়েছিলেন। যাত্রাদলে ‘ছুকরি’ সাজার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।যৌবন থেকেই তিনি বেঁধেছেন অজস্র ভাদু ও ঝুমুর গান। পুরস্কার-শংসাপত্র যা পেয়েছেন, তা আর রাখার জায়গা নেই একচিলতে পাকা ঘরে।তবে অভাব নিত্যসঙ্গী তাঁর। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে এমনটাই জানালেন তিনি। যেখানে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি জনপ্রিয়তা লাভ করছে সেখানেই রতন কাহারের মত এক শিল্পীর অভাব যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
advertisement
আরও পড়ুন : বন্দিশালা থেকে শুরু পথ চলা, ৭৫ তম বর্ষপূর্তির অপেক্ষায় দিন গুনছে বিশ্বখ্যাত এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান
চোখে মুখে বয়সের ভার লক্ষ করা যায় শিল্পীর। আগের মতো সেই ভাবে আর চলাফেরা এবং গান গাওয়া হয়ে ওঠে না, তবে চর্চা তিনি চালিয়ে যান। তিনি বলেন তিনি কখনও কারওর কাছে হাত পাততে শেখেননি। আর সেই কারণেই আজ অভাব তার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকলজ্জায় ক্যামেরার সামনে কিছু তিনি না জানালেও একান্ত ভাবে জানান তার মাস গেলে ওষুধের খরচা হবে তিন থেকে চার হাজার টাকা। মাসের শেষে সেই টাকা কোথায় থেকে আসবে সেই নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান তিনি।
তিনি বলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার পর তার সম্মান বাড়লেও বাড়ছে না উপার্জনের অংক। অনুষ্ঠানে মেলে না সাম্মানিক, সংসার চালাতে হিমশিম ‘পদ্মশ্রী’ রতন কাহারের। শুধু বড়লোকের বিটি লো নয় এর পাশাপাশি তিনি লিখেছেন একাধিক গান। তবে তাঁর লেখা আজ সমস্ত গানের খাতা মোড়া রয়েছে মাকড়সার জালে।