পূর্ববর্ধমান জেলায় এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৯ টি ব্লকের ২৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত দামোদর ও অজয়ের জলে ক্ষতিগ্রস্ত। জেলাজুড়ে প্রায় ২ হাজার থেকে ২.৫ হাজার কাঁচাবাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। অজয়ের জল নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের কয়েক হাজার পরিবারের। বন্যার হাত থেকে নিজেদের সংসার বাঁচাতে যে যেখানে পেরেছেন উঁচু জায়গায় উঠে বাঁচার চেষ্টা করছেন। কেউ আছে রাজ্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে, আবার কেউ রাস্তার পাশে ত্রিপলের তাঁবুতে।
advertisement
কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২২ টি গ্রাম বন্যা প্রবণ এলাকা হলেও কোন ফ্লাডশেল্টার না থাকায় বন্যার সময় মানুষের দুর্গতি বেশি হয়। কেতুগ্রাম ২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। দেড়শ পরিবারের দুবেলা রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। বন্যা দুর্গতদের অভিযোগ অনেকে এখন ত্রিপল পায়নি, এমন কিছু পরিবার আছে যাদের বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। জল নেমে গেলে তাদের মাথা গোঁজার মত জায়গা নেই। সেই সব পরিবার সরকারের কাছে ঘর চাইছে। বিল্বেশ্বর পঞ্চায়েতের বাস্তুকার জানান, 'আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। যাদের বাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে তারা যাতে ঘর পায় তার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও আমরা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ত্রাণ শিবির খুলেছি।'
অজয় নদের জলস্তর নেমে গেলেও বিধ্বংসী বন্যার চিহ্ন হিসেবে ভাঙা রাস্তা পড়ে রয়েছে। বহু গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কেতুগ্রামে অজয় নদের আট জায়গায় বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি এখনও জলের তলায়। মঙ্গলকোটের অবস্থাও একই। অজয় নদের তিন জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। দুর্গতদের ত্রাণ দিতে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় এসেছেন।
আরও পড়ুন: 'একটা রাজ্য কতবার ভাসবে? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব', কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর