পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধেয় কটুক্তি করাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার হোটেলে ভাঙচুর করা হয়।অভিযোগ স্থানীয় এক বিজেপি নেতার নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়।এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সেই অশান্তি গেয়ে পৌঁছায় পালিতপুর গ্রামে। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতেই গুরুতর জখম হয় তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রাতে ফের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর হয়। এক তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্হানীয় বাসিন্দারাই উদ্যোগী হয়ে সেই আগুন নেভায়।
advertisement
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি ও তৃনমূল কংগ্রেসের একে অপরের ওপর অশান্তি সৃষ্টির দায় চাপিয়েছে।
বিজেপি নেতা শ্যামল রায়ের দাবি, ওই দোকানে মদ বিক্রি করা হচ্ছিলো। তারই প্রতিবাদ করেন এলাকার বাসিন্দারা। এটি একটি গ্রাম্যবিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
তৃণমূল নেতা মানস ভট্টাচার্যের অভিযোগ, শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে অতর্কিতে এই হামলা চালানো হয়। বেছে বেছে তৃনমূলের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বাঁশ লোহার রড দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করা হয়। আমাদের কয়েক জন কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয়েছে। একটি বাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগুনও ধরিয়ে দেয়। আমরা অবিলম্বে বিজেপি আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।