শহরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন পুর বাসিন্দারা। বর্ধমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, বর্ষার আগেই নর্দমাগুলি খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়েছিল। তাই অতিবৃষ্টির কারণে সাময়িক জল দাঁড়ালেও তা নেমে যেতে বেশি সময় লাগেনি।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। বেলা যত বেড়েছে ততই বেড়েছে বৃষ্টির দাপট। বেলা এগারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বর্ধমান শহরে দফায় দফায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। তার জেরেই জল দাঁড়িয়ে যায় বর্ধমান শহরের ব্যস্ততম খোশবাগানে এলাকায়।
advertisement
আরও পড়ুন- Hooghly News: চলন্ত গাড়িতে হঠাৎ ধোঁয়া! মাথায় এসে পড়ল বাজ! তারপর? ভয়াবহ ঘটনা
জল দাঁড়িয়েছে পারকাস রোড লাগোয়া রাস্তাগুলিতেও। এছাড়াও সুভাষপল্লী এলাকায় রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। জল দাঁড়িয়েছে কার্জন গেট, তিনকোনিয়া লাগোয়া জি টি রোডে। বংপুর মোড়, আলমগঞ্জের নিচু এলাকা গুলিতে, বর্ধমান শহরের খাল-বিল মাঠ বাবুরবাগের নিচু এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়।
শহরের বাসিন্দারা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে শহর বেড়ে উঠেছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা করা হয়নি। এর ফলেই এক পশলা ভারি বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
জমা জলে নর্দমা, রাস্তা কিছুই আলাদা করা যাচ্ছে না। তার ওপর দিয়েই কোনও রকমে সাইকেল, মোটর সাইকেল, টোটো যাতায়াত করছে। এমনিতেই শহরের রাস্তার হাল বেহাল। তার ওপর জমা জল দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন- Bogtui Case: বগটুই কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৭! বীরভূম জুড়ে তুমুল ধরপাকড়ে সিবিআই
ভারী বর্ষণের কারণে বর্ধমান শহরে বাঁকা নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। জল আরও কিছুটা বাড়লে নদী তীরবর্তী কিছু এলাকা প্লাবিত হবার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। বিশেষত শাঁখারী পুকুর হাউসিং, নতুন পল্লী, তিন নম্বর ইছলাবাদের কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
গত বছর বাঁকা নদীর জল এইসব এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জল আরও বাড়লে তারা যাতে নিরাপদ জায়গায় উঠে যেতে পারেন সেই ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে।