বুধবার বর্ধমান শহরে আইন অমান্য কর্মসূচি ছিল সিপিএমের। সেই সেই কর্মসূচি শেষে তাণ্ডবের চেহারা নেয়। আইন অমান্যকারীরা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর পুলিশের ওপর ইট পাথর বৃষ্টি শুরু করে সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। তারা বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট এলাকায় বিশ্ব বাংলার লোগো উপড়ে ভেঙে দেয়। বহু লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো হয়েছিল। একটি বোর্ডও আস্ত রাখেনি তারা। শুধু তাই নয়, বিধায়ক অফিসে ঢুকে কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি যথেষ্ট ভাঙচুর চালায় তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাথমিক দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তই, মানিকেও বহাল একই রায়! হাই কোর্টে রাজ্যের বিপর্যয়
বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সে সময় দিল্লিতে ছিলেন। পরদিনই ফিরে এসে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। খোকন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বর্ধমান শহরের সিপিএমের তাণ্ডব রুখতে আমাদের পাঁচ মিনিট লাগবে। ঘটনার পরেই সিপিএমের দলীয় কার্যালয় হামলা চালাতে চেয়েছিল দলের কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা কোথাও কিছু করিনি। সিপিএম কে গণতান্ত্রিক ভাবে মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে আগামী দিনে সিপিএম ফের এমন করতে এলে তান্ডব কাকে বলে বুঝিয়ে দেব। কোনও দিনও আর তারা মাথায় তুলে দাঁড়াতে পারবে না।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে গণনা কারচুপির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা, পিছু হটলেন শুভেন্দু অধিকারী!
বিধায়কের এই হুঁশিয়ারি কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সিপিএম নেত্রী পৃথা তা বলেন, হুমকি দিয়ে শাসক দল আমাদের লড়াই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। সিপিএম জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, পুলিশ প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে। শাসক দলের কথায় কাজ করছে পুলিশ।বিধায়কের এই বক্তব্য উস্কানি মূলক। এতে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়বে।