বর্ধমান শহরে বৈধ টোটোর তুলনায় অনেক বেশি টোটো চলাচল করে বলে অভিযোগ। শহরে চার হাজারের কাছাকাছি বৈধ টোটো রয়েছে। সেখানে এই শহরে দশ হাজার টোটো চলে বলে অভিযোগ। যদিও পুরসভার দাবি, বেআইনি টোটো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
টোটো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনতে রুট ভাগের পরিকল্পনা নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে লটারি করে টোটোর রুট ভাগ করা হয়। যদিও টোটো চালকদের আপত্তিতে সেই রুট ভাগ কার্যকর করতে পারেনি পুরসভা বা প্রশাসন।
advertisement
এরপর শহরের ৩৬০০ টোটোকে দু’ ভাগে ভাগ করা হয়। ঠিক হয় অর্ধেক টোটো ভোর থেকে বেলা দুটো পর্যন্ত চলবে। বাকি সময় চলবে বাকি অর্ধেক টোটো। সেই মতো টোটোগুলিকে নীল সাদা ও নীল সবুজ রঙে বিভক্ত করা হয়। এ মাসে নীল সাদা টোটো দিনের বেলায় চললে পরের মাসে দিনের বেলায় সবুজ সাদা টোটো চলবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে,সেই নিয়মও মানছেন না টোটো চালকরা। অভিযোগ, সকাল সন্ধ্যা সব সময় সব টোটোই চলাচল করছে। তার ফলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলি যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে থাকছে। মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে আটকে যাচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স।
নিয়ম যে মানা হচ্ছে না তা স্বীকার করে নিয়েছেন টোটো চালকরাও। অভিযোগ, অনেকে আবার টোটোয় রোগী থাকার মিথ্যা অজুহাত দেখাচ্ছেন। শহরের বাসিন্দারা বলছেন, প্রশাসনের গাফিলতিতেই টোটো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা যাচ্ছে না।এ ব্যাপারে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন ‘‘ খুব তাড়াতাড়ি টোটো চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগী হবে প্রশাসন।’’ বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘বেআইনি টোটো চলাচল কমানো সম্ভব হয়েছে। বাকি টোটোগুলি যাতে নিয়ম মেনে চলে তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’’