রামপুরহাট থেকে বর্ধমানগামী লোকাল ট্রেনটি খানা জংশনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখে একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন পার করানো হচ্ছিল দীর্ঘক্ষণ পরও রামপুরহাট বর্ধমান লোকাল না ছাড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। এরপরই তারা রেল লাইনে নেমে পড়েন। সেই সময় সেখান দিয়ে ডাউন দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস পার হওয়ার সময় ছিল। যাত্রীরা রেল লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ায় রাজধানী এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় লোকাল ট্রেন চলাচল। একাধিক ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। সকাল ৯.১০ মিনিট নাগাদ অবরোধ শুরু হয়।
advertisement
খবর পেয়ে রেলের পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ছিল আরপিএফ এবং রেল পুলিশও। রেলের আধিকারিকরা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। লোকাল ট্রেন যাতে সময় চলে, তা নিশ্চিত করা হবে বলে রেলের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়। প্রায় ৫০ মিনিট পর যাত্রীরা অবরোধ তুলে নেয়। এরপর রামপুরহাট বর্ধমান লোকাল বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছয়। গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দিল্লি-হাওড়া ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতে মহিলা প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিন্ত তৃণমূল কংগ্রেস
বর্ধমান-রামপুরহাট শাখার যাত্রীরা বলছেন অনেকেই রামপুরহাট লোকালে বর্ধমান পৌঁছে সেখান থেকে আবার লোকাল ট্রেন ধরে গন্তব্যে যান। অনেক অফিস যাত্রীর এই ট্রেনটি বিশেষ ভরসা। তা ছাড়া এই শাখায় এই সময় বিশেষ ট্রেন নেই। কিন্তু দিনের পর দিন দেখা যাচ্ছে মাঝপথে এই লোকাল ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন পার করানো হচ্ছে। তার ফলে অনেক সময় খানা জংশন বা তার আগে দীর্ঘক্ষণ এই লোকাল ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। এর ফলে বর্ধমান স্টেশন থেকে কানেক্টিং ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কর্মস্থলে পৌঁছতে প্রতিদিনই দেরি হয়ে যাচ্ছে ৷ যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ থাকছে না ৷ দিনের এর আগে বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরহা হয়নি। সে কারণেই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা এদিন রেল অবরোধ করেন।