তবে নিত্য পূজারী রা আসেন নিজেদের কাজ করতে। কাজ মিটে গেলে বন্ধ হয়ে যায় রাজবাড়ির ফটক। এভাবেই নিজের জৌলুস হারাতে বসেছে বর্ধমান রাজবাড়ি। বর্ধমান রাজবাড়ির (Bardhaman Rajbari) কিছু অজানা কথা বর্ধমানের রাজবাড়ি ছিল শহরের কাঞ্চননগর এলাকায়। সেখানেই থাকতেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। দামোদরে বার বার বন্যার কারণে শাসনকাজে সমস্যা হওয়ায় সেখান থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার সিধান্ত নেয় তৎকালীন মহারাজ তেজচাঁদ।
advertisement
আরও পড়ুন- মায়াপুরের আদলে দোল উৎসব! উদ্যোগ পশ্চিম বর্ধমানের মহিলা সমিতির
শহরের উঁচু জায়গায় রাজবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন তিনি। আর তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেন তেজচাঁদের দত্তকপুত্র রাজা মহাতাবচাঁদ। ১৮৫১ সালে এই রাজবাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়। এখান থেকেই শাসনকাজ বিচার ব্যবস্থা পরিচালিত হতো সেই সময়ে। ১৮৮০ র দশকে রাজা রানি রাজ পরিবারের সকলেই এই এলাকায় চলে আসেন। এরপর মহাতাবচাঁদ, আফতাবচাঁদ, বিজয়চাঁদ ও উদয়চাঁদ রাজত্ব পরিচালনা করেছেন।
বর্তমানে রাজবাড়ির (Bardhaman Rajbari) সমস্ত দায়িত্ব ভার রয়েছে ড: প্রণয় চাঁদমহতাবের হাতে। যদিও কর্মসূত্রে তিনি অন্যত্র থাকেন। তবে মাঝের মধ্যে আসেন এই হেরিটেজ বিল্ডিং বর্ধমান রাজবাড়িতে। বর্তমানে সংস্কারের অভাবে বর্ধমান রাজবাড়ি কার্যত হারাচ্ছে নিজের জৌলুস। বর্ধমান রাজবাড়িতেই রয়েছে একটি হিন্দি মিডিয়াম স্কুল। খসে পরা পলেস্তরার মধ্যেই চলে পঠন পাঠন। উদ্যোগ নিয়ে কেও যদি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে এই রাজবাড়িকে তাহলে ভালো হয় বলছেন রাজবাড়ির প্রধান পুরোহিত উত্তম মিশ্র।
