এই ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তাদের জেরার সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় বর্ধমান পৌরসভার চুক্তিভিত্তিক অ্যাকাউন্টেন্ট সমীররঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে। বর্ধমানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে মহারাষ্ট্র নিয়ে যায় পুলিশ।
advertisement
বর্ধমানে খবর এসেছিল, জামিন পেয়ে রাজ্যে ফিরে আসছেন সমীররঞ্জন মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তা হয়নি। ফের তাকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। কেন? জামিন পাওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ফের গ্রেফতার। আরও একটি চেক-জালিয়াতি ও অর্থ প্রতারণার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বর্ধমান পুরসভার চুক্তিভিত্তিক হিসাবরক্ষক সমীররঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বুটিবরি নাকাতে নাগপুরের কাডামনা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে নাগপুরের একটি আদালতে তোলা হয়। রাত পর্যন্ত শুনানি চলে।
আইনজীবী বর্ধমান আদালতের আইনজীবী স্বরাজ ঘোষ বলেন, বৃহস্পতিবার একটি মামলায় আমার মক্কেলকে আদালত জামিন দেয়। কাজ মিটিয়ে ফেরার পথে ফের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁর পুলিশ হেফাজত হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগেই এই ঘটনায় অ্যাকাউন্টেন্ট সমীররঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে নির্দোষ বলে দাবি করেছিল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
তাদের বক্তব্য, রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কের ভুলে পৌরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা চলে গিয়েছিল। বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, যে চেকে টাকা উঠেছে সেই চেক আমাদের কাছেই আছে। ব্যাঙ্ক তাদের ভুল বুঝতে পেরে পুরো টাকাটাই ফেরত দিয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, আগে ধৃত তিনজনের সঙ্গে সমীররঞ্জনের ফোনে একাধিকবার কথা ও সাক্ষাৎ হয়েছে। সেসব তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।