বর্ধমান শহরে শতাধিক নার্সিংহোম রয়েছে। খসবাগান থেকে শুরু করে জি টি রোডের ধারে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে নার্সিংহোম। চিকিৎসার নামে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করার অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। বিধায়ক খোকন দাস বলেন, ‘‘অনেক নার্সিংহোমেরই চিকিৎসা করার ন্যূনতম পরিকাঠামো পর্যন্ত নেই ৷ অথচ সেগুলি প্রশাসনের চোখের সামনেই দিনের-পর-দিন চিকিৎসার নামে লোক ঠকানোর কারবার চালিয়ে যাচ্ছে ৷ গ্রাম থেকে আসা বাসিন্দারা সেখানে রোগী ভর্তি করে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন ৷ তাই করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এই কারবার বন্ধ করতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি।’’
advertisement
বিধায়ক খোকন দাস পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায়ের সঙ্গে দেখা করে নার্সিংহোমগুলির অব্যবস্থা অনিয়মের কথা সবিস্তারে জানান। বর্ধমান শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার লিখিত দাবি জানিয়ে বলেন,অবিলম্বে নার্সিংহোম মালিকদের নিয়ে বৈঠক করা হোক। না হলে গ্রামের মানুষদের করোনার চিকিৎসার নামে ঘটিবাটি বিক্রি হয়ে যাবে।
বিধায়কের অভিযোগ, করোনা পজিটিভ না হলেও বিভিন্ন মানুষকে কাগজে কলমে করোনা পজিটিভ দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করছে এই সব নার্সিং হোমগুলি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় জানিয়েছেন, বিধায়কের চিঠি পেয়েছি। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে নার্সিংহোম মালিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Saradindu Ghosh