করোনার কথা মাথায় রেখে ষষ্ঠ দফা থেকে প্রচারের সময়ে কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন৷ বাকি তিন দফায় সব দল এবং প্রার্থীকেই প্রচার সারতে হবে সকাল দশটা থেকে সন্ধে সাতটার মধ্যে৷ ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে বন্ধ হবে প্রচার৷ তৃণমূলের অবশ্য দাবি ছিল, বাকি তিন দফার ভোট একসঙ্গে করানো হোক৷ যদিও সেই দাবি মানেনি নির্বাচন কমিশন (Election Commission)৷
advertisement
এ দিন পূর্বস্থলীর সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম তোমরা ভোটের দিনটা কমিয়ে দাও, শুনল না৷ কিন্তু ভোটের প্রচারের সময়টা তোমরা কমিয়ে দিয়েছে৷ কারণ নরেন্দ্র মোদিদের প্রোগ্রাম আর নেই বলে তাই৷ অমিত শাহের প্রচারে লোক হচ্ছে না তাই৷ তুমি আমার মিটিংটা সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টার মধ্যে নিয়ন্ত্রিত করে দিয়েছো৷ পঞ্চম দফার মতো ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম দফার আগে ৭২ ঘণ্টা করে প্রচার করতে দেবে না৷ আমার কটা দিন নষ্ট হল? চারটে দিন নষ্ট হল, আগে চব্বিশ ঘণ্টা নষ্ট করেছে৷ তার মানে আমার পাঁচটা দিন নষ্ট করেছে৷ বুঝলেন কিছু?'
মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, 'এখন যেহেতু বিজেপি জানে এই সিটগুলোয় একটাতেও জিতবে না৷ তাই তৃণমূলের প্রচারের সময় কমিয়ে দাও৷ তৃণমূলের মিটিং করার দরকার নেই৷ মা ভাই বোনেরা এমনিই তৃণমূলকে ভোট দেবে৷ তুমি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছ, কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছ৷'
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ফের অভিযোগ করেছেন, বাংলায় করোনা বাড়ছে বিজেপি-র নিয়ে আসা বাইরের লোকেদের জন্য৷ ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, 'নরেন্দ্র মোদির সভার জন্য প্যান্ডেলের লোকও বাইরে থেকে নিয়ে আসে৷ এদের কোভিড আছে কি না জানব কী করে? এর পর বাংলায় কোভিড বাড়লে তার দায় নরেন্দ্র মোদিকে নিতে হবে, অমিত শাহকে নিতে হবে৷'
পূর্বস্থলীর সভা থেকে ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, বিজেপি-র কথা শুনে কাজ করতে গিয়ে বাহিনীর সুনাম নষ্ট হচ্ছে৷ শীতলকুচির মতো ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে আদালতে কোনও মামলা হলেই বাহিনীর সদস্যদেরই হয়রানি হবে বলেও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷