স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন সকাল সওয়া এগারোটা নাগাদ বর্ধমানের রসিকপুরের সুভাষপল্লি রোডে পর পর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এর পরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে স্থানীয়রা দেখতে পান, দুটি শিশু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাস্তায়। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম শেখ আফরোজ। শেখ আব্রাহাম নামে আরেক শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পরপরই এলাকায় আসে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড-এর কর্মীরা। কী ধরণের বোমা সেখানে রাখা ছিল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। এমনকী আশেপাশে আর কোথাও বোমা রাখা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
advertisement
ঘটনার কথা কানে পৌঁছতেই বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'শুনেছি একটা বাচ্চা মারা গেছে। বিষয়টি দেখতে বলেছি ৷ শিশুটির পরিবারের পাশে আমরা সবরকম সাহায্য নিয়ে আছি।' যদিও মমতাকে পালটা বিঁধতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, 'রাজ্যের অবস্থা কোন জায়গায় পৌঁছেছে, তা এই ঘটনাতেই প্রমাণ। বাংলাকে বোমা-গুলির কারখানা হিসেবে গড়ে তুলেছে তৃণমূল সরকার। আজকের এই ঘটনার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতেই হবে।' যদিও পালটা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছে তৃণমূলও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তার পাশেই এক জায়গায় বোমা রাখা ছিল। সেই সময় ওখানে খেলছিল কয়েকজন শিশু। ভোটের মুখে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় থমথমে পরিবেশ বর্ধমানে। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এমন বিস্ফোরণের এই ঘটনায় চিন্তিত পুলিশ-প্রশাসনও। একইসঙ্গে ভোটের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। এবার বর্ধমানের এই বিস্ফোরণের ঘটনাতেও কড়া অবস্থান নিল নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন তাঁরা।