পূর্ব বর্ধমান জেলায় অনেকেই প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলেও দ্বিতীয় ডোজের জন্য হাপিত্যেশ করে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। টিকা দেওয়ার কেন্দ্রগুলিতে ভোর থেকে লাইন পড়ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পরেও অনেকে টিকা না পেয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে এবং কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ২৮ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। কিন্তু অনেকের সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।
advertisement
বাসিন্দারা বলছেন, প্রথম ডোজ নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। তাদের অনেকের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই ঘরের বাইরে আসতে হচ্ছে তাঁদের। এর ফলে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলায় চল্লিশটি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা নেই। তাই অনেক জায়গায় অনির্দিষ্টকালের জন্য টিকা দেওয়া বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় আবার শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কালনা ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে সব জায়গাতেই মজুত টিকার তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি থাকছে। তাই সবাইকে করোনা টিকা দেওয়া যাচ্ছে না বলেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম প্রথম পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন মজুত থাকলেও তা নেওয়ার চাহিদা ছিল খুবই কম। অনেক জায়গাতেই টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। কিন্তু এখন সংক্রমণ ও তার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে টিকা নিয়ে নেওয়ার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম রয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
Saradindu Ghosh