খুনের ঘটনার খবর পেয়েই এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিন )আমিনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে জামালপুর থানার পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। মৃতদেহ পরিদর্শন ও প্রাথমিক তদন্তের পর বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বলেই পুলিশ কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান। এদিনই বৃদ্ধার মৃতদেহ বর্ধমান পুলিশ মর্গে পাঠিয়ে ময়না তদন্ত করা হয়। কারা কেন এভাবে ওই মহিলাকে খুন করল সেই রহস্য উদঘাটনে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।
advertisement
জামালপুরের শাহহোসেনপুরের মালিক পাড়ায় এক কুটুরি ঘরে বৃদ্ধা কমলা বাউরি একাই বসবাস করতেন।তাঁর একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। বৃদ্ধার স্বামী রতন বাউরি কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। বয়স জনিত কারণে সেভাবে কাজকর্ম বিশেষ করতে পারতেন না কমলাদেবী। সরকারি ভাতার সামান্য কিছু টাকা ও প্রতিবেশীদের সাহায্য সহযোগিতায় দিন চলতো বৃদ্ধার। বাড়িটুকু ছাড়া বৃদ্ধার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি কিছুই নেই। এমন একদরিদ্র বৃদ্ধাকে কী কারণে খুন হতে হল সেই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধা নেশাগ্রস্ত লোকজনকে অপছন্দ করতেন।বৃদ্ধার তিরষ্কার সহ্য করতে না পেরে নেশাগ্রস্ত কেউ এই খুনের ঘটনা ঘটালো কিনা সেই প্রশ্নই এখন প্রতিবেশীদের মুখে মুখে ঘুরপাক খাচ্ছে । এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, সকালে প্রতিবেশীরা বৃদ্ধাকে তাঁর ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘরে ঢুকে দেখা যায় মেঝেতে বৃদ্ধার রক্তাত দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁর মাথায় ও মুখের অংশে আঘাতের ক্ষত দেখতে পাওয়া যায় । এসডিপিও বলেন , প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ভারি কিছু দিয়ে আততায়ীরা বৃদ্ধার মাথা ও মুখের অংশ থেঁতলে দেওয়াতেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তদন্ত শুরু হয়েছে । আততায়ীদের খোঁজ চলছে।