জামালপুরের মশাগ্রামে সভামঞ্চ থেকে মীনাক্ষী অভিযোগ করে বলেন, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিত কুণ্ডু টিভিতে বলছে উনিও ঘুষ নিয়ে বউ বৌদির চাকরি করেছেন। যে ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে,আর যে সেল্ফ ডিকলিরাশেন দিয়েছে আমি ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছি তার চাকরিটা আজ পর্যন্ত বরখাস্ত কেন হল না?তাঁর বিরুদ্ধে আজও এফআইআর কেন হল না?দিদিমনি নবান্ন থেকে নোটিফিকেশন করছেন না কেন যে কালনা থেকে যাদের চাকরি হয়েছে তাদের ভেরিফিকেশন হোক।সবার প্রথমে বিশ্বজিত কুণ্ডুর বউ এবং বৌদিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক।
advertisement
বিজেপিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মীনাক্ষী। মীনাক্ষী বলেন, সরকারি অফিস বন্ধ হয়ে গেলে যতই আপনি আদিবাসী বাড়িতে এসে কলাপাতাতে ভাত খান, চাকরি হবে না। এনআরসি নিয়ে তাঁর উবাচ, "সংযুক্ত মোর্চা বলছে, কে কোন বাপের ব্যাটা আছিস আয়,পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি,সিএএ হতে দেবো না।পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাউকে বের হতে দেবো না।"
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে এই যুবনেত্রীর প্রশ্ন, "ভোটের আগেই কেন ইডি পাঠাচ্ছে,ভোটের আগে কেন সিবিআই হচ্ছে,পাঁচ বছর কেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন? নাকি ভোটের আগে সবাইকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে আসার কোনও প্রক্রিয়া করছেন? মীনাক্ষীর আগাম আশ্বাস, আমরা ক্ষমতায় এলে এক বছরে সাড়ে পাঁচ লক্ষ শূন্যপদ পূরন করব।"
বিজেপি বলছে, তাঁরা সরকারে এলে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী একসাথে রাজ্য পরিচালনা করবেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মীনাক্ষীর কটাক্ষ, "দিলীপ ঘোষ মানে বিজেপি,শুভেন্দু মানে এক্স তৃনমূল।মানে বিজেপি তৃনমূল মিলে পশ্চিমবঙ্গ শাসন করবে। আমরা বলছি ও গুড়ে বালি।ওটা হবে না।"