তাঁরা বলছেন, এবার আক্রান্তদের মধ্যে তেমন জটিলতা এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। তবে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের আরও বেশি সাবধান থাকতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছিল। অনেকের মধ্যেই আক্রান্ত হওয়ার কয়েক দিনের পর প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছিল। এবার সেই সমস্যা অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন- রাতারাতি যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কেটে ফেললেন গ্রামবাসীরা, কেন?
advertisement
আক্রান্তদের বেশিরভাগই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাতেই বেশিরভাগ আক্রান্ত ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে করোনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ যে কোনও সময় তা আবার ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই এই সময় মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৭৬১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে শুধুমাত্র বর্ধমান শহরে ২৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কালনা পৌরসভা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মেমারি পৌরসভা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন।
গ্রামীণ এলাকাগুলির মধ্যে বর্ধমান এক নম্বর ব্লকের ২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্ধমান দু'নম্বর ব্লকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ জন। গলসি এক নম্বর ব্লকে ৪৩ জন ও গলসি দু'নম্বর ব্লকে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জামালপুর ব্লকে ২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন- তারাপীঠে গঙ্গাসাগরের জল! সংক্রমণ রুখতে অভিনব উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর
আউশগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ১১ জন ও আউশগ্রাম দু'নম্বর ব্লকে ১৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকের কুড়িজন ও কেতুগ্রাম দু'নম্বর ব্লকে ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। খণ্ডঘোষ ব্লকে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন।
মন্তেশ্বর ব্লকে ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মেমারি এক নম্বর ব্লকে ২৪ জন মেমারি দু'নম্বর ব্লকে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের ১১ জন ও পূর্বস্থলী দুই নম্বর ব্লকে ১৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।