সোমবার বর্ধমানের রসিকপুরে বোমা বিস্ফোরণে এক শিশুর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হয় আরও এক শিশু। মাটি নিয়ে খেলা করছিল তারা। সেই সময় বল ভেবে বোমা হাতে তুলে নেয় তারা। নাড়াচাড়ার সময় সেই বোমা ফেটে গেলে ঘটনাস্থলেই সেখ আফরোজ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সেখ ইব্রাহিম নামে আরও এক শিশু এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
advertisement
এ দিন মৃত শিশু শেখ আফরোজের বাড়িতে যান বর্ধমান দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী পৃথা তা। মৃত শিশুর মা সোনিয়া খাতুন ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় সিপিআইএম প্রার্থী পৃথা বলেন, এখানে ভোটের আগে বোমা নিয়ে খেলা হচ্ছে। বর্ধমান শহরটা বোমা বারুদের গোডাউনে পরিণত হয়েছে। তাঁর দাবি, এলাকার ক্লাবের দখল নিয়ে শাসক দলের প্রভাবশালী দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে রেষারেষি ছিল। ক্লাবের ক্ষমতা দখলে রাখতে বোমা মজুত করা হয়েছিল। সেই বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যু হল। আরও এক শিশু মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
তিনি বলেন, ভোট প্রচার বা সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে নয়, শিশু হারানো মায়ের কাছে এসেছিলাম। এখানে বোমা, বারুদের খেলা হচ্ছে। তার পরিণতি স্বরূপ শিশুদের প্রাণ যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের সব বক্তব্য রেকর্ড করছে। ভিডিও তুলে রাখা হচ্ছে। কিন্তু বোমা বাঁধার ভিডিও কে রেকর্ড করবে? মাটি খুঁড়লেই বোমা বেরিয়ে আসছে। আজ যারা তৃণমূল কাল তারা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। তৃণমূল আর বিজেপির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। এই বোমা কারা রেখেছিল তার বিস্তারিত তদন্ত করুক নির্বাচন কমিশন।
এ ব্যাপারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই বিস্ফোরণে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। তারা তদন্ত করছে। আমরা চাই এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি তিনি বলেন, এ রাজ্যকে হেয় প্রতিপন্ন করতে দেশজুড়ে ষড়যন্ত্র চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আইনের শাসন বলবৎ করেছেন সে দিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। এখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টা চালানো হতে পারে। তাই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
Saradindu Ghosh