TRENDING:

পুতুল গড়ার জন্য মাটি আনতে গিয়েছিল ছোট্ট আফরোজ, তখনই ঘটে বিস্ফোরণ 

Last Updated:

পুত্রশোকে বিহ্বল মা সোনিয়া খাতুন। বলছিলেন, ওখানে যে অমন হবে তা জানলে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: কাদামাটি ছিলো আফরোজের খুব প্রিয়। কাদামাটি দিয়ে পুতুল গড়ত শিশুমন। মাটি দিয়ে বানিয়ে ফেলতো নানা খেলনা। সেই মাটি আনতে গিয়েছিল সে। সেই কাজের জন্য যে  শেষ পর্যন্ত তাকে এভাবে প্রাণ হারাতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না ছোট্ট আফরোজের বাবা-মা। ঘটনার পর একদিন কেটে গিয়েছে। পুত্রশোকে বিহ্বল মা সোনিয়া খাতুন। বলছিলেন, ওখানে যে অমন হবে তা জানলে ছেলেকে মাটি আনতে কোনও দিনই যেতে দিতাম না।
advertisement

সোমবার বেলা এগারোটা পনেরো মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমান শহরের রশিকপুর এলাকা। পরপর দুটি জোরালো বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। প্রাথমিক আতঙ্ক কাটিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্লাব ঘরের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। তাদেরই একজন সাত বছরের আফরোজ। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। আর এক শিশু শেখ ইব্রাহিম গুরুতর জখম অবস্থায় এখন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

advertisement

মৃত আফরোজের মা সোনিয়া খাতুন মঙ্গলবার বাড়ির দাওয়ায় বসে বলেন,আফরোজ প্রায়ই কাদামাটি নিয়ে খেলা করতো।খুব ভালোবাসতো কাদামাটি।সেই কাদামাটি দিয়েই সে বানিয়ে ফেলত নানান ধরণের খেলনা।সেই খেলনা নিয়ে বন্ধুদের সাথে খেলত।সেই মতো সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ মায়ের কাছে আবদার করে একটা গামলা চেয়ে নেয় আফরোজ। সেই গামলা নিয়ে সে মাটি আনতে বেরিয়ে যায়।ক্লাবের পাশ থেকে মাটি তোলার সময়ই হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়।

advertisement

বিকট আওয়াজ শুনে ঘর থেকে পরিবারের লোকেরা বেড়িয়ে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আফরোজ। পাশেই পরে আছে তার বন্ধু সেখ ইব্রাহিম।দুজনকেই উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান হাসপাতালে। সেখানেই আফরোজকে মৃত বলে ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইব্রাহিম।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পুতুল গড়ার জন্য মাটি আনতে গিয়েছিল ছোট্ট আফরোজ, তখনই ঘটে বিস্ফোরণ 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল