৪৬ বছর বয়সি নীলমণি দানা কেতুগ্রামের নিরোল গ্রামের বাসিন্দা। আর পাঁচজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাপোষা মানুষের মতোই জীবন কাটান পেশায় ধূপকাঠি বিক্রেতা নীলমণি। অভাবের সংসারে স্বামীকে সাহায্য করতে কাঁথা স্টিচের কাজ করেন নীলমণির স্ত্রী, রাখি। এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁদের সংসার। বছর ১৬-র মেয়ে সুমনা নিরোল উচ্চ বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণীতে এবং ১০ বছর বয়সী ছেলে সুশোভন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে।
advertisement
জুতো না পরার স্বামীর, এই অদ্ভূত পণ প্রসঙ্গে স্ত্রী রাখিদেবী জানান- ‘উনি মেয়ের জন্মের আগে থাকতেই জুতো পরতেন না। প্রথম প্রথম আমার খারাপ লাগত, কারণ জানতে চাইতাম। কিন্তু উনি বিশেষ কিছুই বলতেন না। তবে প্রথমে খারাপ লাগলেও, রাখির চোখেও এখন বিষয়টা "স্বাভাবিক হয়ে গেছে"।
এমনকি দলের তরফে বিজেপির বর্ধমান পূর্ব(গ্রামীণ) জেলা কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বহুবার তাঁকে জুতো পরার অনুরোধ করা সত্বেও তাঁর অনুরোধ ফিরিয়ে দেন নীলমণি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা গোটা ১৮ টা বছর জুতো না পরেই কাটিয়ে দিলেন তিনি। নীলমণিবাবু জানান, "বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় না এলে জুতো পরব না। আমার বিশ্বাস বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে। তখন দলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে জুতো উপহার পেয়েই আমি জুতো পরা চালু করব- এটাই ইচ্ছা আমার"।