সূত্রের খবর, গলসিতে প্রার্থী ঘোষণার পর তপন বাগদিকে নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। এরই মধ্যে তিন দিন আগে ছন্দপতন হয়। বর্ধমানের পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয় তপন বাবুকে। তাঁকে বলা হয়, যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাই তাঁকে প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যদিও তাতে রাজি হননি তপন বাবু।
advertisement
এরপর সোমবার নিজের অনুগামীদের সঙ্গে মনোনয়ন পত্র জমা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তখনই তাঁকে বাইরে ডেকে পাঠানো হয় দলীয় নেতৃত্বের তরফে। আর ডেকেই বলে দেওয়া হয়, মনোনয়ন জমা করা যাবে না। বাধ্য হয়ে মনোনয়ন জমা না করেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। যদিও দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে তিনি ক্ষুব্ধ, তা বোঝাতে কসুর করেননি তিনি। বলেন, 'আমাকে বাইরে ডেকে বলা হল মনোনয়ন জমা না করতে। আমি কিছুই জানি না। যদি এমনই চলে, তাহলে পরে কী হবে, সেটা ভাবতে হবে।'
এর আগেও নানা আসনে বিক্ষোভের ফলে প্রার্থী বদলের পথে হাঁটতে হয়েছে বিজেপিকে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল আলিপুরদুয়ার থেকে প্রার্থী করা হবে প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অশোক লাহিড়ীকে। কিন্তু সেখানে তাঁকে নিয়ে দলের কর্মী–সমর্থকদের প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। ফলে তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে প্রার্থী করে বিজেপি। আবার চৌরঙ্গি থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল শিখা মিত্রের নাম। আর কাশীপুর–বেলগাছিয়া থেকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয় তপন সাহার নাম। কিন্তু তাঁরা দু’জনেই বেঁকে বসেন বিজেপির প্রার্থী না হতে চেয়ে। ফলে কাশীপুর–বেলগাছিয়া থেকে প্রার্থী করা হয়েছে শিবাজী সিংহরায়কে। চৌরঙ্গি থেকে দাঁড়িয়েছেন দেবব্রত মাঝি। আর দার্জিলিং থেকে প্রার্থী হয়েছেন নীরজ জিম্বা তামাং। কিন্তু গলসিতে যেভাবে প্রার্থী বদল হল, তাতে অনেকেই আশ্চর্য হয়ে পড়ছেন।