এ যেন এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! বাসিন্দাদের দীর্ঘ কয়েক বছরের দাবি মেনে মেমারি গ্রামীণ হাসাপাতালে চালু হল একশো শয্যার নতুন পরিকাঠামো। এর ফলে এখন একসঙ্গে অনেক রোগীর চিকিৎসা করা যাবে বলে আশাবাদী জেলা প্রশাসন।
পূর্ব বর্ধমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাসপাতাল এই মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল। যা শুধু মেমারি শহর নয় মেমারি বিধানসভা এলাকা, জামালপুর,মন্তেশ্বর, হুগলির কিছু অংশের মানুষ অনেকটাই নির্ভর করে থাকে এই হাসপাতালের ওপর। তবে উন্নত পরিষেবা এবং হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বাসিন্দারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
advertisement
সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয় হাসপাতাল চত্বরে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই নতুন ভবন থেকে রোগীরা পরিষেবা পাবেন।
আরও পড়ুন- চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণা! অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে গেল মহারাষ্ট্র পুলিশ
১০০ সজ্জাবিশিষ্ট নতুন ভবনের উদ্বোধন হল মঙ্গলবার।উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শর্মিলা সরকার ও মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য।। ছিলেন জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। নতুন ভবন পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। তাদের আশা, উন্নতমানের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে এই নবনির্মিত হাসপাতালে। আগামীদিনে রোগীদের পরিষেবার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি হবে বলে মনে করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার সময় এই হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এক বছর আগেই সিংহভাগ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রের তরফ থেকে সম্প্রতি এই পরিকাঠামো রাজ্যকে হস্তান্তর করা হয়। তারপর এই পরিকাঠামো চালু করা হলো। খুব তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নার্স মিলবে বলে আশাবাদী আধিকারিকরা।