বর্ধমান শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তাঁর শ্যালিকা আমেরিকায় থাকেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর বাড়িতে এসেছেন। তিনিই স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু করতে চাইছিলেন। তাই দুবরাজদিঘি হাইস্কুল এবং ছয় নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে যোগাযোগ করে দুটি স্কুলে স্যানিটাইজার ট্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে দুবরাজদিঘি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নবকুমার মালিকের কাছে লিখিত আবেদন করেন। একইসঙ্গে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি দেবনারায়ণ গুহের সঙ্গেও তিনি ফোনে কথা বলেন।
advertisement
দেবপ্রসাদবাবু জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে অনুমতি পেয়ে সোমবার তিনি তাঁর শ্যালিকা অনিতা গাদকারি এবং আরও কিছু ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান। এই সময়ে সেখানে হাজির হন ৪নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার মহম্মদ আলি, তৃণমূল যুব নেতা নুরুল আলম সহ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। তাঁরা এই টানেল লাগানোর বিরোধিতা করেন।
দেবপ্রসাদবাবু জানিয়েছেন, স্কুলের ছেলেমেয়েদের স্বার্থে একটা ভালো উদ্যোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বানচাল করা হয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি তৃণমূলের উর্ধ্বতন নে্তৃত্বকে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর শ্যালিকা সমাজসেবা করতে চেয়ে এদিন যে ব্যবহার পেয়েছেন তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বর্ধমান থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূল যুব নেতা নুরল আলম জানিয়েছেন, স্কুলে একটি ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে।
আরও পড়ুন- স্কুল খুললেও ব্ল্যাকবোর্ডে নয়, পড়ুয়াদের চোখ ক্লাসরুমের কড়ি বরগায়! কিন্তু কেন?
ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া এই ধরণের কাজ করা যায় না। তাছাড়া এই স্যানিটাইজার টানেলের (Sanitizer tunnel) ধারাবাহিক খরচ কোথা থেকে আসবে সে নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন। তাছাড়া এই স্যানিটাইজার টানেল থেকে পড়ুয়াদের চোখের, স্কিনের ক্ষতি হতে পারে। সেসব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্যই টানেল বসানোর ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন- গোলাপ ফুল-চকলেটে কলেজের গেটে বরণ ছাত্রছাত্রীদের, স্কুলে ফিরে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারাও
তিনি বলেন, স্কুলের উন্নতির বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কাম্য। স্কুলে অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। যিনি কিছু করতে চাইছেন তিনি আসুন, আলোচনা করুন। কিন্তু অনুমতি না নিয়ে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন এই ধরনের কাজ করা ঠিক হয়নি।
শরদিন্দু ঘোষ