রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ব্যাপক আকার নিয়েছে। গত একমাসে এই সংক্রমণ প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। রোগীর সংখ্যা তুলনায় হাসপাতালের বেড অপ্রতুল। শ্বাসকষ্ট নেই বা কম উপসর্গ থাকা রোগীদের বেশিরভাগই বাড়িতে রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার বাইরে থাকা করোনা আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পৌঁছে দিতে গত মাসের ২১ তারিখ জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো গত ২৫ এপ্রিল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে এই টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু হয়েছে।
advertisement
এখানে আটটি কম্পিউটার রয়েছে। আট জন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এক একটি শিফটে কাজ করছেন। তিনটি করে শিফট চলছে। জানা গিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হেল্পলাইনে ফোন করলেই এই পরিষেবা মিলছে। দিনের প্রথম কুড়িটি কল যাচ্ছে এসএসকেএমে। তার পরবর্তী পর্যায়ের কলগুলি যাচ্ছে বর্ধমান মেডিকেলের টেলি মেডিসিন বিভাগে।এখানের সব ফোন ব্যস্ত থাকলে কল যাচ্ছে এসএসকেএমে। দিনরাত মিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন পাঁচশোরও বেশি করোনা আক্রান্ত এই পরিষেবার সুবিধা নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। কোনও কোনও দিন সাতশোর ওপর কল আসছে।
মূলত বাড়িতে থাকা করোনা আক্রান্ত ও তাদের পরিজনদের পক্ষ থেকেই বেশি ফোন পাচ্ছেন টেলি মেডিসিন পরিষেবা যুক্ত থাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সেখানে উপসর্গ অনুযায়ী কি করনীয় তা রোগী বা তাঁদের পরিজনদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কোন ধরনের উপসর্গের জন্য কি ওষুধ খাওয়া জরুরি, রোগ জটিল আকার ধারণ করলে বা রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হলে কোথায় কত বেড খালি রয়েছে তারও হদিশ দিচ্ছেন টেলি মেডিসিনে কর্মরত চিকিৎসকরা।
Saradindu Ghosh