শনিবার প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার তৃণমূল প্রার্থী শম্পা ধাড়া। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা হামলা চালায় প্রার্থীর প্রচারে। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শনিবারের ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় এখনো চাপা উত্তেজনা রয়েছে অশান্তি এড়াতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। ভোটারদের আস্থা ফেরাতে এলাকায় টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
advertisement
রায়নার দেনো গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শম্পা ধাড়া প্রচারে গিয়েছিলেন।সেই সময়ে তাঁর প্রচার মিছিলের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। শম্পা ধাড়ার অভিযোগ করেন, ওই দিন বড় বৈনানের দেনো গ্রামে তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি প্রচারে করছিলেন। সেই সময়ই একদল মদ্যপ যুবক তাদের মিছিলের সামনে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে শুরু করে।তাঁরা প্রতিবাদ করলে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।কুড়ুল,লাঠি নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তীর ধনুক ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন শম্পা ধাড়া।
দিনভর রায়না ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার ছিল। বিকালে দেনো গ্রামের পূর্ব পাড়ায় প্রচারে অশান্তি হয়। বিজেপির আক্রমণে শম্পা ধাড়াও জখম হন। মিছিলে ইট পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করে তৃণমূল।কোনও ক্রমে রক্ষা পান শম্পা ধাড়া। আহতদের মাথায় হাতে আঘাত লাগে। আহতদের প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শম্পা ধাড়ার দাবি ঘটনায় ছ জন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক জখম হয়।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির রায়না বিধানসভার কনভেনর কৃশানু দে বলেন, এই হামলার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই গণ্ডগোল হয়। এর সাথে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা কোনও ভাবেই জড়িত নন।
Saradindu Ghosh