TRENDING:

East Bardhaman: সবেতন কর্মী নিয়োগ করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলেন কালনার ব্যবসায়ী

Last Updated:

টোটোয় মাইক লাগিয়ে গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন তিনি। বাসিন্দাদের সচেতন করার পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নিজের উদ্যোগেই হাসপাতালের সামনে খুলেছেন রোগী সহায়তা কেন্দ্র।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বর্ধমান: রীতিমতো বেতন ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে করোনার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হলেন কালনার এক ব্যক্তি। সেই সঙ্গে টোটোয় মাইক লাগিয়ে গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন তিনি। বাসিন্দাদের সচেতন করার পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নিজের উদ্যোগেই হাসপাতালের সামনে খুলেছেন রোগী সহায়তা কেন্দ্র। কোন প্রয়োজনে কোথায় যেতে হবে তার বিস্তারিত সহায়তা দিনভর মিলছে সেই কেন্দ্র থেকে। মারণ রোগ থেকে বাসিন্দাদের বাঁচানোর তার এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement

পূর্ব বর্ধমান জেলার গঙ্গাপাড়ের মন্দির শহর কালনার বড় মিত্রপাড়ার বাসিন্দা সুব্রত পাল। তিনি ব্যবসায়ী। গতবছর ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দরিদ্র বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে নজর কেড়েছিলেন এই শিল্পপতি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশজুড়ে আছড়ে পড়তেই তিনি প্রাণহানি কমাতে মানুষকে সচেতন করার কাজের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। এজন্য টোটোয় মাইক বেঁধে প্রতিদিন দিনভর গ্রামীণ এলাকায় অলিতে গলিতে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার চালাচ্ছেন। সেখানে বাসিন্দাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, মাস্ক ব্যবহার, বারে বারে হাত পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

advertisement

কালনা শহরেও এলাকাভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের সব রকম পরিষেবা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন তারা। এর জন্য ইতিমধ্যেই চারজন বেতনভুক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আরও অন্তত ১৫ জন কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুব্রতবাবু। কালনা মহকুমা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ইউনিট রয়েছে। হাসপাতাল চত্বরের বাইরে নিজের উদ্যোগে রোগী সহায়তা কেন্দ্র খুলেছেন এই শিল্পপতি। গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা অনেককেই হাসপাতালে খুঁটিনাটি জানতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাদের সহায়তার জন্যই খোলা হয়েছে এই কেন্দ্র। এখানে চব্বিশ ঘণ্টা রোগী ও তাদের আত্মীয়দের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।

advertisement

সুব্রতবাবুর মতে,সরকারের একার পক্ষে এই মহামারি সামাল দেওয়া যথেষ্ট কঠিন কাজ। তাই সমাজের প্রত্যেককেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এই উপলব্ধি থেকেই তাঁর এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তিনি। সুব্রতবাবু বলেন, যারা কাজে যুক্ত রয়েছে তাদের পরিবার পরিজন রয়েছে। সংসার চালাতে অর্থের প্রয়োজন। সেজন্যই বেতন দিয়ে কর্মীদের নিয়োগ করেছেন তিনি।

Saradindu Ghosh

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman: সবেতন কর্মী নিয়োগ করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলেন কালনার ব্যবসায়ী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল